ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি:
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, গ্রাম বাংলার পিঠার ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। পিঠা উৎসবকে পরিবারের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। পিঠা মানে বাঙালী, বাঙালী মানে পিঠা পার্বণ। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। ২০ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা হতে রাত ০৯টা পর্যন্ত পিঠা উৎসব চলবে। উৎসব মঞ্চে বিকেল ৪টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তিসহ লোকজ পরিবেশনা থাকবে প্রতিদিন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের গ্রিন প্লাজায় চার দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪২৬ বঙ্গাব্দ রাজশাহী বিভাগ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর রাজশাহীতে পিঠা উৎসব আয়োজনের একটি তারিখ নির্ধারণ করলে তা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণায়ণালয়ের ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভূক্ত করা হবে । এর আগে পিঠা উৎসব শুধু ঢাকায় পালন করা হতো। এর আদি ঐতিহ্য যাতে হারিয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পিঠা মানে বাঙালি, বাঙালি মানে পিঠা পার্বণ । এবারই প্রথম ঢাকার বাইরে রাজশাহী এবং সিলেটে এ উৎসব পালন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলায় এ উৎসব পালন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
পাটিসাপটা রাজশাহীর একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা। পাটিসাপটা পিঠাকে ব্র্যান্ডেড করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ পিঠাকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে তা রাজশাহীবাসীকে আশ^স্ত করেন। ইতোমধ্যে শীতল পাটি ইউনেস্কো স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং সোনারগাঁ কে ক্রাফট সিটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নাট্য ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেণী এবং জাতীয় পিঠা উৎসবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম এবং রাজশাহী পিঠা উৎসবের সমন্বয়ক অধ্যাপক মলয় ভৌমিক বক্তৃতা করেন।
No comments:
Post a Comment