কলারোয়ায় ২০ বছর চাকরির পরে ধরা খেলেন এক শিক্ষক - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, অক্টোবর ১৬, ২০১৯

কলারোয়ায় ২০ বছর চাকরির পরে ধরা খেলেন এক শিক্ষক

সময় সংবাদ ডেস্ক//
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দীর্ঘ ২০ বছর চাকরির পরে অবৈধ নিয়োগে সরকারী টাকা উত্তলনের বিষয়টি ধরা পড়েছে এক কলেজ শিক্ষকেরে বিরুদ্ধে। আর এ কাজটি হয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে-কলারোয়া উপজেলার শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের বিএম কোর্সের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক কামরুজ্জামান প্যাটার্ন বহিভূত ভাবে ১৯৯৮ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রাপ্ত হন। তার এ অবৈধ নিয়োগের এবিষয় তুলে ধরে একই কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মফিজুর রহমান বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহ সকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তে আসেন খুলনা অঞ্চলের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক অনিমেশ পাল। তিনি পরে তদন্ত প্রতিবেদন জানা দেন। তিনি ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ করেন যে-এইচ এম কামরুজ্জামান ১৯৯৮ সালে নিয়োগ কালীন সময়ে মাষ্টার্স সার্টিফিকেটে ৩য় বিভাগ, বিধি সম্মত নয় এবং প্যাটার্ন অনুযায়ী তার নিয়োগ বৈধ নয়, তার সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ও বিধি সম্মত নয়,অধ্যক্ষের মতে তিনি দুবির্নীত ক্লাসে আন্তরিক নয় এবং বিভিন্ন কুটিল কৌঁসুলি কাজে জড়িত থাকায় এইচ এম কামরুজ্জামানের এমপিও সাময়িক ভাবে স্থাগিত বা বাতিল করা যেতে পারে। এ ছাড়া প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনে কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর ২৮.১.৭ ধারা মোতাবেক কেন তার এমপিও স্থগিত বা বাতিল করা হবে না সেই মর্মে তাকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের জন্য শো-কোজ নোর্টিশ প্রদান করা হয়েছে। এদিকে তার নিয়োগ অবৈধ ও প্যাটার্ন বহিভুত বিভাগীয় তদন্তে প্রমানিত হওয়ার পরও ১৯৯৮ সাল হতে অদ্যাবধি লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে উত্তোলনে কলেজ কর্তৃপক্ষ সহায়তা করেন। এখনও পর্যন্ত সরকারী বিধি ও নিদেশনা লঙ্ঘন করে তার বেতন ভাতার সরকারী অংশ উত্তোলনের কাজে কলেজ কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছেন। যাহা সরকারী কোষাগার তছরুপের সামিল। বিষয়টি সরকারী স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে বিধায় জনগন উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য জানতে শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকের ফোনের সুইচ অফ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Post Top Ad

Responsive Ads Here