মতামতঃ
সবার আম্পানের কথা হয়তো মনে আছে,সারাদেশব্যপী কতই না সতর্কতা জারি,কতই না আগাম প্রস্তুতি।তবুও সেই বেপরোয়া ঝড়ের তান্ডবে দিশেহারা হয়েছিল উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ,ঘর বাড়ি,রাস্তাঘাট, গবাদিপশু থেকে শুরু করে জনজীবনে নেমে এসেছিল এক ভয়ঙ্কর অবস্থা।
আর তারই ধারাবাহিকতায় এবারও খুলনার পাইকগাছা,কয়রা উপজেলায় একই চিত্র ধরা পড়ল ইয়াসের ছোবলে।বলা হয়েছিলো সাগরপাড়ের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে,কিন্তু তাতে কি এসে যায় প্রতিবছর যে উপকূলীয় অঞ্চলবাসীদের এমনিভাবে চরম দূর্দশার শিকার হতে হয়,এবার ও সেই একইচিত্র লক্ষনীয়।এ যেন তাসের ঘর,সব একাকার করে দিয়ে গেছে ইয়াস।সুপীয় পানি,পয়নিঃষ্কাষন সহ দেখা দিয়েছে খাদ্যঘাটতি।যদিও ইয়াস তার গতিপথ বদলে ওড়িষ্যার দিকে চালিয়েছে তার তান্ডব,তবুও এ অঞ্চল বাসীকে পোহাতে হচ্ছে ইয়াসের নারকীয় তান্ডবের ছিটেফোটা।
এ অঞ্চলের মানুষ প্রতিবছর সরকারের কাছে আবেদন জানায়, যেন ভেঁড়িবাধ মজবুত করে উপকূলবাসীদের দূর্দশা রোধ করে। শুধু ভেড়ী বাধ দেওয়াই নয়,তারা চায় না প্রতিবছর এরকম ঝড়ের কবলে তাদের ঘরবাড়ি হারাতে,এব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা একান্ত কাম্য বলে তারা মনে করছেন।তাছাড়া তারা এই ভেড়ি ভেঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত পানি ঢুকা থেকে রক্ষা পেতেও সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ আবু নাঈম,
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।