বাহিরে যে সব দেশে করোনা নতুন ধরন প্রকাশ পেয়েছে সেসব দেশ থেকে আসা মানুষের মাধ্যমেই দেশে ছড়াচ্ছে করোনা | সময় সংবাদ
সময় সংবাদ ডেস্ক:
স্বাস্হ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২৮ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে ১৬ জন, কক্সাবাজারে সাত জন, নারায়ণগঞ্জে ও বরিশালে দুই জন করে এবং গাজীপুর, চাঁদপুরে একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা আগের দিন ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃতু্যর খবর আসেনি।
এদিকে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি (কোভিড-১৯) মহামারি নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে। বুধবার রাতে কমিটির ৫৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা। পরামর্শক কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, যেসব দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন এবং উপধরনে সংক্রমণের হার বেশি, সেসব দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাইরাস ছড়াচ্ছে বলে মনে করছে কমিটি।
এজন্য বিমান, স্হল ও নৌবন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিতে হবে। বিশেষ করে অধিক আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ, টিকা সনদ আবশ্যক করতে হবে। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্হা করতে হবে। যারা এখনো বুস্টার ডোজ নেননি, তাদের টিকার ব্যাপারে উত্সাহিত করার এবং ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের নিয়ম মোতাবেক টিকা দিতে সুপারিশ করেছে কমিটি।
কমিটির পরামর্শগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে-স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে পুনরায় উদ্বুদ্ধ করতে সব ধরনের গণমাধ্যমে অনুরোধ জানানো, সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা; সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম বর্জন করা; ধর্মীয় প্রার্থনার স্হানে (মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা।
কমিটি বলেছে, জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও অনেকে করোনা পরীক্ষা করছেন না। এ কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্হা নেওয়া যাচ্ছে না। সংক্রমণও বাড়ছে এ কারণে। কারো উপসর্গ দেখা দিলে এবং সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে গেলে তাদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করার পরামর্শও দিয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি।