বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ কয়েকটি জায়গায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ ভূমিকম্প হয়। রিখতার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৪টার দিকে সিলেটে ভূমিকম্প হয়। রিখতার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। মাত্র ৭২ ঘণ্টার চেয়েও কম সময়ের ব্যবধানে দুই ভূমিকম্পে এখন জনমনে ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সিলেটে মধ্যরাতে ভূমিকম্পের পর অনেকেই বাড়ি ঘরের বাইরে খোলা জায়গায় চলে যান। রাতভর জনমনে বিরাজ করে অজানা ভীতি ও শঙ্কা। তার একদিন পরেই আজ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ কয়েকটি জায়গায় ভূকম্পন অনুভূত হলো।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের ফালাম। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীর এর উৎপত্তিস্থল ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভূ-তত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মৃদু হালকা কিংবা মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অদূর ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের অশনি সংকেত বহন করে।
বাংলাদেশ ও ভারত, মিয়ানমার, নেপালসহ আশপাশের বিশাল অঞ্চল সুপ্ত হলেও ভূমিকম্পের বলয়ে বা জোনে অবস্থিত। ভূমিকম্পের আশঙ্কাপূর্ণ দীর্ঘ ফাটল লাইন বৃহত্তর চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, ঢাকার আশপাশ এলাকা, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে গেছে। বঙ্গোপসাগর উপকূলের কাছাকাছি এলাকাও ভূমিকম্প বলয়ে অবস্থিত।
অতীতে বাংলাদেশসহ আশপাশ অঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ থেকে ৮ মাত্রারও অধিক পয়েন্টে প্রচন্ড শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, সচরাচর ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে ৫০, ১০০, ১৫০ বছর অন্তর শক্তিশালী ভূমিকম্পের পুনরাবৃত্তি ঘটে থাকে।
ভূ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, মাঝেমধ্যে হালকা মাত্রার ভূকম্পন-প্রবণতা এবং টেকটোনিক প্লেটের সঞ্চালনের বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ভূ-তাত্ত্বিককগণ বাংলাদেশ ও আশপাশ অঞ্চলজুড়ে অদূর ভবিষ্যতে শক্তিশালী মাত্রায় ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন। তারা এরজন্য আতঙ্কের চেয়ে প্রস্তুতি ও সতর্কতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সময়/আব/দেশ