গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন রিক্সা পেল ভবানীগঞ্জের ইয়াছিন | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২২

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন রিক্সা পেল ভবানীগঞ্জের ইয়াছিন | সময় সংবাদ

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন রিক্সা পেল ভবানীগঞ্জের ইয়াছিন | সময় সংবাদ
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন রিক্সা পেল ভবানীগঞ্জের ইয়াছিন | সময় সংবাদ


সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

 পরিবারের হাল ধরতে কিশোর ইয়াছিন (১৩) অটোরিকশার প্যাডালে পা রেখেছে দেড় মাস আগে। রবিবার (৬ছয় ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কৌশলে তার অটোরিকশাটি চুরি করে নিয়ে যায় যাত্রীবেশে অচেনা দুই ব্যক্তি। এতে যেন ইয়াছিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তার কান্নায় চোখের কোণে জল আসে উপস্থিত অনেকের। ইয়াছিনের চারপাশ তখন অন্ধকার।


ওইদিন মোহনানিউজে লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চুরি, থামছে না ইয়াছিনের কান্না’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এই ছাড়া আরো কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হয়। এরপর দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই ফোন করে ইয়াসিনের খোঁজখবর নেয় প্রতিনিধির মাধ্যমে। লক্ষ্মীপুরে সেই ইয়াছিন অটোরিকশা উপহার পেয়েছে। ঢাকার বেসরকারি সংস্থা প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি (পি ফর এইচ) উদ্যোগে তাঁকে নতুন রিকশা কিনে দেওয়া হয়েছে। কালের কণ্ঠের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি কাজল কায়েসের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১০দশ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রিকশাটি হন্তান্তর করা হয়।


সেই কান্না থেমে এবার মুখে হাসি ফুটেছে কিশোর ইয়াসিনের মুখে। এই যেন অন্ধকারের মধ্যে একটি আলোর মশাল। নতুন অটোরিকশা পেয়ে খুশি ইয়াসিনের পরিবারও। রিকশা পেয়ে ইয়াছিন বলে, ‘আমি খুব খুশি। এখন থেকে আমিই এই রিকশার মালিক। রিকশা চালিয়ে মা-বোনদের মুখে এবার খাবার তুলে দিতে পারব।’ 


রিকশা হস্তান্তরের সময় লক্ষ্মীপুর সদরের ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মোতাহের আলী ও ইয়াসিনের মা পেন্সি আক্তার, সময় সংবাদ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি সোহেল হোসেন, আরো রয়েছে  মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, নিজাম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন রাফি, রুবেল হোসেন ও জুনাইদ আল হাবিব।


 ইয়াছিনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামে।


 রিকশা পেয়ে ইয়াছিনের মা পেন্সি আক্তার বলেন, ‘আমরা অসহায়। অভাবের কোনো মতো খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। ছেলেকেও লেখাপড়া করাতে পারিনি। এখন বেঁচে থাকার একটা অবলম্বন হলো। এই জন্য সাংবাদিক ও রিকশাদানকারী সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’




Post Top Ad

Responsive Ads Here