ভোলায় রাতের আধারে এক সন্তানের জননী উধাও | সময় সংবাদ |
ভোলা সংবাদাতা:
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের -২নং ওয়ার্ডের নাগরের ছেলে মমিনের স্ত্রী এক সন্তানের জননী সুমাইয়া আক্তার স্বর্ণা (২০) প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়েছে। তার স্বামী মমিন স্ত্রীকে বাড়িতে মায়ের কাছে রেখে চট্টগ্রামে চাকুরী করতো।
গত ০৬-০৩-২০২২ ইং তারিখ রাতে শাশুড়িকে ঘুমের ঔষধ সেবন করিয়ে শাশুড়ির ঘরে থাকা নগদ ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে একই এলাকার সওদাগর বাড়ির মোশারফের ছেলে কলেজ পড়ুয়া অন্তর সওদাগরের সাথে উধাও হয় ওই গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার স্বর্ণা । এমন অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী মমিন।
মমি বলেন, ২০১৮ সালে পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সুমাইয়া আক্তার স্বর্ণার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০১৮ সালেই আমরা পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করি। সেই ঘটনায় আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আমার বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দেয়। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। আমাদের দাম্পত্য জীবনে একটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে আমার স্ত্রী আমার সন্তান সহ আমার ঘর থেকে রাতের আধাঁরে উল্লিখিত টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ একই এলাকার অন্তরের সাথে পালিয়ে যায়। তবে পালাতক থাকায় সুমাইয়া আক্তার স্বর্ণার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এদিকে অন্তরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তার ফেইসবুক আইডিতে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি সুমাইয়া আক্তার স্বর্ণাকে ভাগিয়ে নিয়ে এসে বিবাহ করেছি। আমি যদি অন্যায় করে থাকি ক্ষমা চাচ্ছি। স্বর্ণাকে আমি অনেক ভালোবাসি। তাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না।
অন্যদিকে অন্তরের ঘরে থাকা তার দাদী জানান, আমার নাতি ওই গৃহবধূ নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা খোঁজাখুঁজি করছি। তাদেরকে এখনো পাইনি। এ ঘটনায় মমিনের মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন ফকির (বিপিএম) জানান, নিরপেক্ষ তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।