![]() |
রাঙ্গামাটিতে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা |
মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
মাটির ক্ষয়রোধে আমাদের ভাবনার সময় হয়ে গেছে। আগামী প্রজন্মের জন্য মাটির ক্ষয়রোধে আমাদের সজাগ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, মাটিতে ইচ্ছেমত চাষাবাদ, পাহাড় কেটে বাগান করা যাবে না। এই জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা দরকার। আমরা প্রকৃতির সাথে যেমন আচরণ করবো প্রকৃতি তা নিরবে ফিরিয়ে দিবে। যেমন রাঙ্গামাটিতে ২০১৭ সালে ভূমিধস হয়েছিল। এতে অনেকেই মারা গেছে, অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই মাটি ক্ষয়রোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সোমবার সকালে জেলা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সভায় বক্তাব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ সাহা।
সভায় মৃত্তিকা সম্পদের উপর গুরুত্বরোপ করে সভায় প্রতিবেদন উত্থাপন করেন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট রাঙ্গামাটি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঊষালয় চাকমা।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরো বলেন, মাটিতে যদি জৈব সার ব্যবহার করা যায় তাহলে মাটির তেমন ক্ষতি হবে না। মাটির ক্ষয়রোধ এড়াতে আমাদের রাসায়নিক সার এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি ফরেস্ট বিভাগও মাটির সাথে সম্পর্ক রয়েছে। তাদেরও সেগুন গাছ অনেক ক্ষতিকর। এইজন্য তিনি মৃত্তিকা সম্পদ কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে সজাগ করতে অবহিত করেন।