নাটোর প্রতিনিধি-
নাটোরের লালপুর উপজেলার এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের একাধিক নারীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সরগরম গোটা এলাকা, শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। আলোচিত এই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম জহুরুল ইসলাম। তিনি লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাবনা জেলার ইশ্বরদী উপজেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী, একই এলাকার এক কিশোরী ও কলেজ পড়ুয়া অপর এক তরুণীর সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহুরুলের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের অগোচরে তারা অবাধে মেলামেশা করে। এরমধ্যে ওই গৃহবধূর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের স্থির চিত্র ও ভিডিও ধারণ করে রাখে জহুরুল।
সম্প্রতি গৃহবধূর স্বামী বিষয়টি টের পেলে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গৃহবধূ জহুরুলকে এড়িয়ে যেতে থাকলে সে ওইসব ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। জহুরুল আগের মত সম্পর্ক চালিয়ে যেতে গৃহবধূকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তার ডাকে সাড়া না দেওয়ায় জহুরুল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ও কয়েকটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই গৃহবধূর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেয়। তবে সমালোচনার মুখে গতকাল সন্ধ্যায় সে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে ছবিটি সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু তার আগেই ছবিগুলো ভাইরাল হয়ে যায় ।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ঘটনার পর থেকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে তাকে অনেক ছোট করা হয়েছে। স্বামীর সাথে তিক্ততা শুরু হয়েছে, লোকলজ্জার ভয়ে গৃহবন্দি সে।
এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা এলাকায়। বিষয়টি স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভাবমূর্তির জন্য হুমকিস্বরূপ বলছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতাকর্মীরা।স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার এলাকা কলস নগরের বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং এলাকাবাসী জানান, জহুরুল মেম্বার এলাকায় নারী লিপ্সু বলে পরিচিত। বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েদের নিয়ে এসে গ্রামে প্রায় প্রকাশ্যে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। এছাড়া তিনি সুদি ব্যবসা করে বর্তমানে কোটিপতি ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় গ্রামবাসী তার অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। এলাকার সচেতন জনসাধারণ জহুরুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।