ফরিদপুর অফিস:
ফরিদপুর শ্রী ধাম শ্রী অঙ্গনে শ্রীশ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের নয়দিনব্যাপী মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান চলছে। অনুষ্ঠানের সপ্তম দিনে বৃহস্পতিবার বিকেলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিক বিভাগের চেয়ারম্যান ময়না তালুকদার এবং ভারতীয় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার।
আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা মাফিক তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে জানান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ডক্টর যশোদা জীবন দেবনাথ। তবে একদিন আগে তাকে ফোন করে মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি কান্তি বন্ধু ব্রহ্মচারী তাদেরকে আসতে বারণ করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, সকল বিষয় আনুষ্ঠানিক দাওয়াত দেয়ার পরও হঠাৎ করে তাদের মানা করে দেয়ার কথা বলাতে তিনি বিব্রত বোধ করেন। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় সুপারিশ আসে ফরিদপুরের বিভিন্ন পর্যায়ে থেকে ফরিদপুরে একটি ভারতীয় ভিসা সেন্টার যাতে হয়। অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আলোচনা সভায় ভারতীয় প্রতিনিধি ডেপুটি সেক্রেটারি পলিটিক্যাল, মৃনাল কান্তি দাশ এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি অনুষদ এর চেয়ারম্যান ময়না তালুকদার এর যাওয়ায় জন্য প্রোগ্রাম দিয়েছিল। অথচ কান্তিবন্ধু ব্রহ্মচারী আমাকে ফোন করে বললেন, অতিথি আসলে তাদেরকে মঞ্চে বসাতে পারবেন না। তার উপর চাপ আছে। তিনি আরো আমাকে বলেন, আপনারা অপমানিত হতে পারেন যেটা আমি চাই না। আমার প্রশ্ন ফরিদপুরের সাধারণ মানুষের কাছে কোন সন্মানিত অথিতিকে নিমন্ত্রণপত্র দিয়ে আবার মানা করে দেয়া সমচিন কিনা।
এ বিষয়ে জানতে মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি কান্তি বন্ধু ব্রহ্মচারীর সাথে তার অফিসে দেখা করলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে কোন কথাই আপনাদের উত্তর দিতে পারবো না। প্লিজ আমাকে এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন আপনারা করবেন না। কে আসবে আর কে আসবে না তাদের সকলকেই আমি খুব ভালো করেই চিনি। আমি অনুষ্ঠানের পরে আপনাদেরকে বিষয়টি জানাবো বলে সাংবাদিকদের জানান।
ফরিদপুর পূজা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ননী গোপাল জানান, অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হলো তারপরে কি কারনে মহারাজ মানা করলেন এটি আমাদের বোধগম্য হলো না। উনারা আসলে হয়তো আমাদের ফরিদপুরের জন্য অনেক উপকার হতো বলেই আমি মনে করি। বিশেষ করে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল ফরিদপুর বাসীর জন্য। সেটা অনেকটাই আমরা পিছিয়ে গেলাম তার এমন সিদ্ধান্তে।
ফরিদপুর পৌর পূজা কমিটির সভাপতি রামদত্ত জানান, সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই হচ্ছিল হঠাৎ করেই মহারাজের এমন সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর পর আবার মানা করে দেয়া ভালো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে ভক্ত সভায় সম্মানিত এইসব অতিথিরা আসবেন বলে লোকমুখে প্রচার প্রচারণা করা হলেও অতিথিরা আসবেন না শুনে হিন্দু মহলের মধ্যে এক ধরনের উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। তারা কান্তি বন্ধু ব্রহ্মচারীর এমন উদ্ভট আচরণের বিষয়টিকে হতাশা জনক বলে আখ্যায়িত করেছেন।