![]() |
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আগুনে পুড়ে নিহত সাত জনের পরিবারের কাছে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে চেক বিতরণ |
সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের ভাঙ্গার মালিগ্রামে এ্যাম্বুলেন্সে আগুনে পুড়ে নিহত সাতজনের পরিবারের কাছে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে চেক বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ শাখা থেকে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেককের দাফন কাফন বাবদ ২০ হাজার টাকার চেক পাঠান। মৃত ৭ ব্যক্তির জন্য ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার এই চেক দেয়া হয়।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চেক বিতরণ করেন বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান।
এসময় চেক গ্রহন করেন, নিহত তাসলিমার ছেলে আনিচ শেখ, নিহত কমলার স্বামী আলমগীর খান, নিহত বিউটির স্বামী মাহমুদুল হাসান রনি।
প্রসঙ্গগত শনিবার বেলা ১১টার সময় ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি বোয়ালমারীতে আসার পথে ভাঙ্গার মালিগ্রামে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দরজা খুলে কোনোমতে বের হতে পারেন চালক। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকায় নেয়া হলে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।
নিহত তাসলিমা বেগম (৫০) সহ একই পরিবারের ৭জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। নিহত তাসলিমা বেগম ফেলাননগর গ্রামের সৌদি প্রবাসি আজিজার শেখের স্ত্রী। তাসলিমার দুই মেয়ে, কমলা (৩০), বিউটি বেগম (২৬), কমলার ছেলে আরিফ (১২), হাসিব (১০), এবং মেয়ে আফসা (১), বিউটির ছেলে মেহেদী (১০) নিহত হয়। কমলার স্বামীর নাম আলমগীর, উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং বিউটির স্বামী রনি আলফাডাঙ্গার কুচিয়াগ্রামের বাসিন্দা।