ফরিদপুরে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ধসে পড়লো সেতু - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জুন ২২, ২০২৩

ফরিদপুরে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ধসে পড়লো সেতু

ফরিদপুরে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ধসে পড়লো সেতু
ফরিদপুরে নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ধসে পড়লো সেতু


নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সদরপুরে সেতু দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনার রেশ না কাটতেই ধসে পড়লো একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আরেক সেতু। এবার জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের সাবেক এমপি কাজী জাফর উল্লাহর বাড়ির পাশের বৈঠাখালি খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুটি ধসে পড়ে।


বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে সেতুটি ধসে পড়ার খবরে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।গা ঢাকা দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকরা।


 

প্রকৌশলীদের অবহেলা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সেতুটি ধসে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনার পর ঠিকাদার ও শ্রমিকেরা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।


জানা যায়, গত ৬ মাস ধরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর বাড়ির পাশে বৈঠাখালি খালের  ওপর ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমতিয়াজ আসিফ কনস্ট্রাকশন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল। খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচে থেকে সাটারিং সরে যাওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন নির্মাণ শ্রমিকরা।  



কাওলীবেড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হোসেন দুদু মিয়া বলেন, নিম্ন মানের কাজ ও ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে নির্মাণাধীন সেতুটি ধসে পড়েছে। তবে এর বেশি আর কিছু বলতে চাননি এই ইউপি চেয়ারম্যান।  


এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমতিয়াজ আসিফ কনস্ট্রাকশন এর আগে আরেকটি ব্রিজের কাজ করতে গিয়ে সেখানে দুর্ঘটনায় ৩ জন মারা গেছেন। এই ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শত শত বাসিন্দা। তাদের অভিযোগ, দায়িত্বে অবহেলা ও তড়িঘড়ি করে পাটাতনের নিচে বাঁশের খুঁটি ভালোভাবে না দেওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।


স্থানীয়রা আরো বলেন, এদের দায়িত্বে অবহেলা ও বর্ষা মৌসুমে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে গিয়ে এমনটা হয়েছে। অন্যান্য ব্রিজের তুলনায় এই ব্রিজের উচ্চতা অনেক কম দেওয়া হয়েছে। বর্ষাকালে খালে পানি বাড়লে এই ব্রিজ পানির নিচে তলিয়ে যাবে।


এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমতিয়াজ আসিফ কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।  


এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলীমুজ্জামান খান বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।


তবে ভাঙ্গা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন বলেন, ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বৈঠাখালি খালের ওপর ২৪ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজের কাজ শুরু করি। খালের পানির বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং নিচ থেকে সাটিরিং সরে যাওয়ার কারণে সেতুটি ধসে পড়েছে।


এ নিয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিম উদ্দিন বলেন, আমি এদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে ব্রিজের এখনো ঢালাই কাজ শুরু হয়নি। শুধু ব্রিজের স্ট্রাকচার তৈরি হয়েছে। তবে, বৃষ্টির পানিতে বাঁশের খুঁটি সরে যাওয়াতে ব্রিজের স্ট্রাকচার দেবে গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।



Post Top Ad

Responsive Ads Here