![]() |
কার্যদিবসেও উত্তোলিত হয়না জাতীয় পতাকা |
নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধি:
জাতীয় পতাকা একটি স্বাধীন দেশের অন্যতম স্মৃতি বহন করে। জাতীয় পতাকা স্বাধীনতার অন্যতমস্মৃতি বহন করা সত্ত্বেও জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টরের কার্যালয়ে (সরকারি দপ্তর) কার্যদিবসেও উত্তোলন করা হয়না জাতীয় পতাকা।
আজ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আক্কেলপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে ইন্সট্রাক্টরের কার্যালয়ে তাদের দাপ্তরিক কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। অফিসের কোন স্থানেই উত্তোলন করা নেই জাতীয় পতাকা। কার্যালয়ের প্রবেশ দ্বারের পাশেই রয়েছে পতাকা উত্তোলনের জন্য ছোট একটি জায়গা। সেই জায়গাও দখল করে রাখা রয়েছে মটোরসাইকেল দ্বারা।
ওই দপ্তরের ইন্সট্রাক্টর জাহাঙ্গীর আলমের দাবী, পাশে^র্ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় ভবনের সাথে তার কার্যালয়ের ভবন সংযুক্ত। বিদ্যালয় প্রতিনিয়ত পতাকা উত্তোলন করে। সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ভবন সংযুক্ত। দুইটি প্রতিষ্ঠানই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করলেই হবে, আমাদের আলাদাভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা লাগবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিপূর্বেও কার্যদিবসে সরকারি ওই দপ্তরে ওঠানো হয়না জাতীয় পতাকা।
ওই দপ্তরের দয়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সট্রাক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের ভবনটি অন্য ভবনের সাথে সংযুক্ত যেটি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে পতাকা উত্তোলন করা হয়। সংযুক্ত ভবন হওয়ায় নীতিমালা অনুযায়ী পতাকা উত্তোলন করা হয়না’।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রশিদ কবিরাজ জানায়,‘ সরকাারি সকল অফিসে নিয়ম অনুসারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা উচিৎ। এটি কেউ অমান্য করলে প্রশসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ’।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম জানান,‘কার্যদিবস ও বিশেষ দিবসগুলোতে সকল সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিধান রয়েছে। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব’।