মোঃ মাজহারুল ইসলাম শিপলু, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলন্তবাসে ধর্ষণের পর গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার নিহত শিউলী বেগম(২৮) উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আলেপ খানের মেয়ে ও শরীফ খানের স্ত্রী, সে দুই সন্তানের জননী।
তার কর্মস্থল ছিলো গোড়াই শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত কম্পোজিট গার্মেন্টস। সে ঐ গার্মেন্টস এ নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। সংসারের দৈন্যতা কাটানো আর সন্তানদের লেখাপড়া করানোর জন্যই গার্মেন্টসে কাজ করতো। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার বাওয়ার কুমারজানি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এতে ঐ এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে নিজ বাড়ি চরপাড়া বাইপাস থেকে একটি বাসে উঠে গোড়াই কম্পোজিট গার্মেন্টস এ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল শিউলী। কিন্তু বাসে উঠার কিছুক্ষণ পরেই বাওয়ার কুমারজানী এলাকায় তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান গাড়িটি ফাঁকা ছিল। গাড়ি থেকে চিৎকার চেচামেচির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। নিহত শিউলি বাসের জানালা দিয়ে চিৎকার করার এক পর্যায়ে তাকে জানালা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বাসের ভিতরে থাকা ঘাতকরা এবং মহাসড়কের পাশেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয় । মহাসড়কের পাশে শিউলীর লাশ পড়ে থাকা অবস্থায় স্থানীয়রা গোড়াই হাইওয়ে থানাকে বিষয়টি অবগত করেন। তারপর নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম কাউসার বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘাতক বাসটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি তবে বাস ও ধর্ষণকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।