শিল্পী সমিতিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০১৯

শিল্পী সমিতিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

সময় সংবাদ ডেস্ক//
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে শিল্পীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সমিতিতে শিল্পীদের পদচারণা বেড়েছে। কিন্তু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে আসন্ন নির্বাচন পর্যন্ত সমিতির কার্যালয়ে প্রবেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সেখানে কোনো শিল্পীর প্রবেশ বা আড্ডা দিতে পারবেন না, নির্বাচনী প্রচারের জন্য সমিতি ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে চাই। নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সমিতির ভেতর আড্ডাবাজি, চা খাওয়া বা নির্বাচনী প্রচার করা যাবে না। মৌসুমীর সঙ্গে ড্যানিরাজের বাকবিতণ্ডা হওয়ার পর আমার মনে হয়েছে, বিষয়টি নজরে আনা দরকার। মঙ্গলবার থেকে মিশা-জায়েদ প্যানেল পরিচালক সমিতির বাঁ পাশে ও মৌসুমী ডান পাশে অবস্থান নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচুর শিল্পী এফডিসিতে আসছেন। যে কারণে সমিতির পরিবেশ রক্ষায় আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্বাচনী প্রচারের জন্য সমিতি ব্যবহার করা যাবে না। যে কারণে আমরা সমিতির বাইরে বসে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছি। গত সোমবার বিকেলে খল অভিনেতা ড্যানিরাজের হাতে লাঞ্ছিত হন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে কঠোর হয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। ড্যানিরাজ-মৌসুমীর ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে ড্যানিরাজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। আগামি ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতের বিপরীতে কেউ নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদ একটি। লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত জ্যাকি আলমগীর এবং ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪জন। তারা হলেনÑঅঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।

Post Top Ad

Responsive Ads Here