আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপির গদাইপুরে শুক্রবার সকালে বর্তমান চেয়ারম্যান ডালিম ও সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুস গ্রুপের সংঘর্ষে সরবত আলী মোল্লা নামে একজন নিহত হয়েছেন।
এ সময় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে চেয়ারম্যানের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি। পুলিশ এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে।
নিহত সরবত আলী মোল্লা গদাইপুর গ্রামের সামছুর মোল্যার ছেলে। আটকরা হলেন, চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের ভাই জুলি, বাচ্চু, বাচ্চুর জামাই সাদ্দাম ও বাচ্চুর ছেলে কাইয়ুম ও প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীসহ ১০জন।
আহতরা হলেন, চেয়াম্যান ডালিমের ভাই গদাইপুর গ্রামের আহসান হাবিব টগর, একই গ্রামের কাজল ফকির, জাকির মোল্লা, সেলিম সরদার এবং অপর পক্ষে রব্বানী মোল্লা, সবুজ মোল্লা, লাদেন মোল্লা ও শৈবাল মণ্ডলসহ উভয় পক্ষের ১০ জন।
আহতরা ঢাকা মেডিকেল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমের ভাই টগর মাছ বিক্রির জন্য গদাইপুর মৎস্য সেটে যান। এ সময় শত্রুতার জেরে একাধিক মামলার আসামি গদাইপুর গ্রামের সবুজ মোল্লার নেতৃত্বে মোমিন, মফিজুল, আছাদুল, মজিদ মোল্লাসহ ৮-১০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে বাঁচাতে জাকির ও সেলিম এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করে এবং টগরের কাছে থাকা মাছ বিক্রির টাকা ও সেলিমের মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়।
আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে টগরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, টগর গুরুতর আহত হওয়ার খবরা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ একত্র হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে সরবত ও রব্বানীসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সরবত মোল্লার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শনিবার ভোরে মারা যান।
এদিকে, সরবতের মৃত্যুর খবরে জানার পর তার পক্ষের লোকজন একত্র হয়ে চেয়ারম্যান ডালিমের বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চেয়ারম্যান ডালিমের স্ত্রী রেহেনা খাতুন জানান, তার বাড়ি ভাঙচুরসহ টাকা, স্বর্ণালংকার ও দলিলসহ সব মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার ওসি আবদুস সালাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সময়/দেশ/সাত