সময় সংবাদ ডেস্ক//
এখন পৃথিবীর সব মানুষের কাছেই আতঙ্কের অপর নাম করোনাভাইরাস। ছোঁয়াচে এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে লাখো মানুষের। আক্রান্তের তালিকায়ও নাম উঠছে নতুনদের। অদৃশ্য এই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতেও কেউ পিছু পা হচ্ছে না।
জ্বর, সর্দি, কাশির মতো একাধিক উপসর্গকে করোনা সংক্রমণের ইঙ্গিত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা সিডিসি (ঈউঈ)। তবে বার বার উপসর্গ বদলে ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনাভাইরাস।
করোনা সংক্রমণের ইঙ্গিত হিসাবে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা সিডিসি (ঈউঈ)-এর তালিকায় মোট ১২টি উপসর্গ স্থান পেয়েছে। সম্প্রতি সিডিসি (ঈউঈ)-এর একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, প্রায় ৯৬ শতাংশ করোনা রোগীর মধ্যেই প্রধানত তিনটি উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। এগুলো হলো- জ্বর, সর্দি আর শ্বাসকষ্ট।
মার্কিন বিশেষজ্ঞরা জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলা এই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৪৫ শতাংশ করোনা আক্রান্তের মধ্যে জ্বর, সর্দি আর শ্বাসকষ্ট- এই তিন রকম সমস্যা একই সঙ্গে লক্ষ্য করেছেন। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে ঘন ঘন শুকনো কাশি হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা।
সিডিসি (ঈউঈ)-এর বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শরীরে ভাইরাস প্রবেশের ১০ থেকে ১৪ দিনের মাথায় করোনা আক্রান্তদের জ্বর আসে। এই আক্রান্তদের শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে এবং জ্বর তিন দিনের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
এবার মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থার করোনার উপসর্গের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে জ্বর, কাশির পাশাপাশি নাক থেকে ক্রমাগত জল গড়ানো, সারাক্ষণ বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার মতো অত্যন্ত সাধারণ লক্ষণও। তবে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা সিডিসি (ঈউঈ)-এর সমীক্ষার সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কারণ এই সমীক্ষা শুধুমাত্র মার্কিন মুলুকের কয়েকটি অঞ্চলেই পরিচালিত হয়েছে।