চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এর প্রভাবে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির পাশাপাশি সমুদ্রের উপকূলে বেড়েছে জোয়ারের উচ্চতা। এতে তলিয়ে গেছে পতেঙ্গার উপকূলবর্তী অঞ্চল। এছাড়াও নগরের নিম্নাঞ্চলগুলোর অনেকের বাসাবাড়ি ও দোকানে প্রবেশ করেছে পানি।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ দুপুরের দিকে ভারতের ওড়িশা অতিক্রম করছে। এর প্রভাবে দেশের সমুদ্রের উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৬ ফুট বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি পূর্ণিমারও প্রভাব রয়েছে। দিনভর বৃষ্টি হতে পারে।
এর আগে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদফতরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়, বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের মূল কেন্দ্রটির ওডিশার উপকূল অতিক্রম করছে। পুরো ঝড় ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে বিকেল গড়িয়ে যেতে পারে। এ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৮৪ কিলোমিটারের মধ্যে গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তাই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত ও নদী বন্দরে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রমকালে চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জেলা ও অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় নগরের ১৩টি ওয়ার্ডে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে চিকিৎসক দল ও স্বেচ্ছাসেবীদের। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসনও। সমুদ্রের উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় এক হাজার আশ্রয়কেন্দ্র।