সময় সংবাদ ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’র প্রভাবে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে শত শত মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে চরআন্ডা, দক্ষিণ চরমোন্তাজ, চালিতাবুনিয়া ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো- চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা, নয়াচর, উত্তর চরমোন্তাজ, চরবেষ্টিন, মোল্লা গ্রাম, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চরনজির, কোড়ালীয়া, কাউখালীচর, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মরাজাঙ্গী, চিনাবুনিয়া, বিবির হাওলা, গোলবুনিয়া, চরলতা। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই এসব এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছে উপকূলবাসী।
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’র প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে রাঙ্গাবালী চারটি ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’র প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে রাঙ্গাবালী চারটি ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি
চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জানান, চালিতাবুনিয়া ভাঙন কবলিত এলাকা। এখানে বেড়িবাঁধ বলতে কিছু নেই। অনেক আগেই বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। নতুন বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে সবগুলো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া জানান, চরআন্ডার বেড়িবাঁধটি দীর্ঘদিন অরক্ষিত পড়ে আছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ার হলেই পানি প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে যায়।
রাঙ্গাবালীর ইউএনও মো. মাশফাকুর রহমান জানান, অতিরিক্ত জোয়ারে বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি লোকালয় প্রবেশ করছে। এতে অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। বেড়িবাঁধের বাইরের অনেক গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।