কুড়িগ্রামে বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি চলছে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১

কুড়িগ্রামে বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি চলছে




জেলা প্রতিনিধিঃ

  করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় সরকার আসছে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছে। সে অনুযায়ী কুড়িগ্রামেও খুলতে যাচ্ছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে দুই সপ্তাহ ব্যাপি ঘটে যাওয়া বন্যায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আংশিক কিংবা পুরো পানিতে ডুবে থাকে। এছাড়াও বন্যার পানি কমে গিয়ে নদীর পানির তীব্র স্রোতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলিন হয়।



জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১ হাজার ২৪০টি। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই তীব্র স্রোতে ৫টি নদীগর্ভে চলে গেছে এবং ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যলয় নদী ভাঙনের কবলে রয়েছে। ভাঙনে বিলিন হওয়া প্রতিষ্ঠনসমুহ হলো রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের গতিয়াশ্যাম বগুড়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চেরাগির আলকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহুলা পুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রৌমারী উপজেলার ফলুয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে ডুবে যায়।



এসব বিদ্যালয় থেকে এখন পানি নেমে গেছে।

অন্যদিকে, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, মাত্র তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পানিতে নিমজ্জিত হয় সেখান থেকেও পানি ইতোমধ্যেই নেমে গেছে। যদিও এসব বিদ্যালয় থেকে বন্যার পানি পুরোটা নেমে গেছে তারপরও এসব বিদ্যালয় খোলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কারন অনেক শিক্ষার্থীর বাড়িতে পানি পুরো নেমে না যাওয়ায় এ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।



তবে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ তাদের প্রস্তুতির বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান।

এদিকে, কুড়িগ্রামে স্কুল খোলার অপেক্ষায় রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার আনন্দে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ বেজায় খুশি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বন্যা কবলিত স্কুলগুলোরও ক্লাসরুম ও ভবন পরিস্কার করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশুনার পরিবেশ পায় সে চেষ্টা করছেন সকলে।


জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা, নদী ভাঙন আর দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় নোংরা ও বিবর্ণ হয়ে গেছে। চেয়ার-টেবিল ময়লা, আবর্জনা আর মাকড়সার জালে সৌন্দর্য হারিয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের। প্রতিদিন চলছে এসব প্রতিষ্ঠানে ধোয়া মোছাসহ পরিচ্ছন্নতার কাজ।

সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের পাঁচগাছি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম জানায়, আমাদের স্কুল থেকে পানি নেমে গেছে কিন্তু এখনও অনেকের বাড়িতে পানি নেমে যায়নি। বই পুস্তক ভিজে গেছে। রবিবার থেকে স্কুল খুললে ক্লাস করা কষ্টকর হবে। তবুও আনন্দে আছি স্কুলে যেতে পারব। জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামসুল আলম জানান, দীর্ঘ সময়ে করোনায় স্কুলগুলো বন্ধ থাকলেও আগামী ১২ তারিখ থেকে তা চালু করতে সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠলেও তা নেমে গেছে। ফলে কোন সমস্যা হবে না।   

Post Top Ad

Responsive Ads Here