শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, মে ২৫, ২০২২

শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ | সময় সংবাদ

 

শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ | সময় সংবাদ
শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ | সময় সংবাদ


সময় সংবাদ ডেস্ক:



দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। এবার প্রভাব পড়েছে শিক্ষা উপকরণেও। গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই বই, খাতা, কলমসহ স্টেশনারি সব সামগ্রীর দাম বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।


মঙ্গলবার (২৪ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত জামালপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০টি স্টেশনারি দোকান ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।




দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন ধরনের খাতার দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ৪০ টাকার ব্যবহারিক খাতা এখন ৫০ টাকা ও ৬০ টাকার খাতা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ পৃষ্ঠার খাতা ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এক সপ্তাহ আগেও ১২০ পৃষ্ঠার খাতা ৩০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। কালার পেপার রিম ৩২০ থেকে বেড়ে ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ পৃষ্ঠার রেজিস্টার খাতা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা ও ৫০০ পৃষ্ঠার ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।




মিনি ফাইল প্রতিটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ টাকায়। জিপার ফাইল ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। লাইনার ফাইল আগে ছিল ৩০, এখন তা ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


কলমের দাম ডজনপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। মার্কার পেন প্রতি পিস ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যান্ডভেদে কোনো কোনো মার্কার আবার ৪০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।




সাধারণ ক্যালকুলেটর ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা; ৯৯১ ইএক্স, এমএক্স, ইএক্স প্লাস মানভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো দোকানে এর চেয়ে বেশি দামেও বিক্রি হতে দেখা গেছে।



জ্যামিতি বক্স আগে ১ ডজনের দাম ছিল ৬৫০ টাকা। এখন এটির দাম বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকায়। স্কেলের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ১৩০ টাকার স্কেল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। প্রতি ডজন রাবারে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে।


উপজেলার ফজলু লাইব্রেরির মো. ফজলুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘যে হারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে তাতে আগেই ভেবেছিলাম এর প্রভাব শিক্ষা উপকরণেও পড়বে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা তো কিনে এনে বিক্রি করি।’



জেলার স্টেশন রোডের আকন্দ লাইব্রেরিতে সন্তানের জন্য খাতা-কলম কিনতে এসেছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক অভিভাবক। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি শিক্ষা উপকরণের দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।’


এ বিষয়ে জামালপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, স্থানীয়ভাবে যেসব পণ্য তৈরি হয় সেগুলোর ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। কিন্তু যেসব পণ্য আমদানিনির্ভর সেগুলোর তেমন মনিটরিং করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে যেহেতু বিষয়টি অবগত হলাম, ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়েও মনিটরিং করা হবে।



Post Top Ad

Responsive Ads Here