গভীর রাতে মাদরাসা পরিচালকের ‘যৌন লালসার শিকার’ ১০ ছাত্র | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, আগস্ট ০৯, ২০২২

গভীর রাতে মাদরাসা পরিচালকের ‘যৌন লালসার শিকার’ ১০ ছাত্র | সময় সংবাদ

 

"গভীর রাতে মাদরাসা পরিচালকের ‘যৌন লালসার শিকার’ ১০ ছাত্র | সময় সংবাদ"

নোয়াখালী প্রতিনিধি


নোয়াখালীর সেনবাগের ৯নং নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে তা’লীমুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক আবদুল ফাত্তাহর বিরুদ্ধে মাদরাসার ১০ আবাসিক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকদের চাপের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষককে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। 



 

গত শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারদের নিয়ে তা’লীমুল কুরআন মাদরাসায় একটি সালিশি বৈঠক বসে। বৈঠকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ওই বৈঠকে ২০-৩০ জন অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ওই বৈঠকের খবর পেয়ে গত দুইদিন অভিযুক্ত শিক্ষক আর মাদরাসায় আসেননি।     


ভুক্তভোগীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানায়, তা’লীমুল কুরআন মাদরাসার আবাসিক হলের ৮-১০ জন ছাত্রকে বিভিন্ন সময়ে আবদুল ফাত্তাহ রাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যেতেন। ওই সময় মোবাইল আনা নেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে তার অফিস, শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকারের ঘটনা ঘটায়। এরপর যৌন লালসার শিকার (বলাৎকার) মাদরাসার ছাত্ররা বাড়ি গিয়ে আর মাদরাসায় আসতে না চাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাদেরকে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে মাদরাসায় পাঠাতে না পেরে মারধর করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।


অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার সভাপতি ছারওয়ার আলম বলেন, মাদরাসার শিক্ষকদের গ্রুপিংয়ের কারণে ওই অভিযোগটি উত্থাপিত হয়েছে। বিনা দোষে কেন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে- এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, অত্র মাদরাসার আবাসিক বিভাগ অচিরেই বন্ধ করে দেওয়া হবে।


মাদরাসার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব বলেন, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অত্র মাদরাসার প্রধানের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মাদরাসার পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।  


অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল ফাত্তাহকে ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।


সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  




Post Top Ad

Responsive Ads Here