![]() |
| "পেয়ারা রাজ্যে পর্যটনের হাতছানি | সময় সংবাদ" |
আতিকুর রহমান,ঝালকাঠি
ঝালকাঠি, বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার ৫৫টি গ্রাম জুড়ে রয়েছে বিশাল পেয়ারারাজ্য। এক সময় এসব স্থানে যোগাযোগের জন্য নৌযানই ছিল প্রধান বাহন। এখন সড়ক পথে যোগাযোগের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। পদ্মাসেতু চালুর ফলে এ অঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের সুনিবিড় যোগাযোগ স্থাপন হয়। দেশি-বিদেশি পর্যটক অল্প সময়ের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসতে পারছেন। প্রত্যন্ত এলাকায় খালের দুই পাশে সারিসারি গাছে সবুজ ও পাকা হলুদ রংয়ের পেয়ারায় দৃষ্টি জুড়ায় পর্যটকদের।
এ পেয়ারারাজ্যকে ঘিরে পৃথকভাবে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। পর্যটকরা পেয়ারারাজ্যে এসে এসব স্পট পরিদর্শন করেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলা, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি ও বরিশালের বানারিপাড়া উপজেলায় এ পেয়ারারাজ্য। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র ভাসমান হাট। এ তিন জেলার ৫৫ গ্রাম জুড়ে অবস্থিত পেয়ারারাজ্যে রয়েছে সম্ভাবনাময় পর্যটনকেন্দ্রের হাতছানি।
প্রতি বছরই আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে পেয়ারার ভরা মৌসুমে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয় এ বাগানগুলো। ভীমরুলী ভাসমান পেয়ারার হাট, সরু খালের দুই পাড়ে দৃষ্টিনন্দন সারিসারি পেয়ারবাগান দেখে পর্যটকদের মন জুড়িয়ে যায়। পেয়ারার মৌসুম শুরুতেই বাগানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দেশি ডিঙি নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ান ভ্রমণ পিপাসুরা। প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী আসেন এখানে।
মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পেয়ারা বাগানে দিনদিন বেড়েই চলছে পর্যটকদের সমাগম। বিশেষ করে ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পর্যটকের সমাগম ঘটে বেশি। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি এ পেয়ারা বাগানে বিদেশি পর্যটকরাও আসছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এবং ভারতীয় সাবেক হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভীমরুলীতে ভাসমান পেয়ারার হাট ও বাগান পরিদর্শন করেছিলেন। এছাড়া আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও পরিদর্শন করেন।
এসব বাগানের কয়েকটিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে বিনোদনকেন্দ্র ও পিকনিক স্পট। পর্যটকরা এসব বিনোদনকেন্দ্রে যাত্রাবিরতি করেন। এসব বিনোদনকেন্দ্রে প্রবেশ করতে লাগে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এগুলোর ভেতরে রয়েছে হোটেল, বিশ্রামের ব্যবস্থা ও পিকনিক করার সুবিধা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জুলাই ও আগস্ট এ দুই মাস পর্যটকদের ভিড়ে মুখর থাকে বিনোদনকেন্দ্রগুলো। শীত মৌসুমেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক আসেন। পেয়ারার মৌসুমে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার দর্শনার্থী আসেন উল্লেখ করে ফ্লটিং পেয়ারা পার্কের মালিকানা অংশীদার সুজন হালদার শানু বলেন, ছুটির দিনে তা বেড়ে পাঁচ থেকে সাত হাজারে দাঁড়ায়। পেয়ারাবাগান ও ভাসমান হাটকে ঘিরে পর্যটন বিকাশের আশা করছেন এলাকাবাসী।
পিরোজপুরের তেজদাসকাঠি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, তিন শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী পেয়ারার বড় মোকাম ভীমরুলীতে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটকরা আসেন। এ অঞ্চলে রাত্রিযাপনের জন্য আবাসন ব্যবস্থা, খাবার হোটেল ও মানসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থা করতে পারলে আরো বেশি পর্যটক আসবে। পেয়ারার মৌসুম যেহেতু তিন মাস, এজন্য বেসরকারিভাবে কেউ বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চান না। স্থানীয়রা কয়েকজনে মিলে পৃথকভাবে কয়েকটি বিনোদন স্পট তৈরি করেছেন। প্রত্যেকটি পার্ক ঘিরে অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। পদ্মাসেতু চালু হয়েছে, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা গেলে আরো বেশি দেশি-বিদেশি পর্যটক আসবেন। সচল হবে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা, ঘুরবে এখানকার মানুষের ভাগ্যের চাকাও।
ফ্লটিং পেয়ারা পার্কের মালিকানা অংশীদার প্রণয় মজুমদার জানান, এ পার্কে পর্যটক আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পার্কের উপর নির্ভর করে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
আরেক অংশীদার সুজন হালদার শানু জানান, পর্যটকদের জন্য অর্ডার অনুযায়ী দুপুরের

