
"তিন ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা, গ্রেফতার মুয়াজ্জিন | সময় সংবাদ"
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সিরাজ উদ্দিন কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির তিনজন ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে এক মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা শনিবার দিবাগত রাতে গোসাইরহাট থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার মো. রবিউল ইসলাম (২৫) বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামের তৈয়ব আলী ব্যাপারীর ছেলে। তিনি গোসাইরহাট উপজেলার দাসেরজঙ্গল বাজার বড় মসজিদের মুয়াজ্জিন। রোববার তাকে শরীয়তপুর আদালত পাঠিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার সিরাজ উদ্দিন কওমি মাদরাসার পাশে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন মুয়াজ্জিন মো. রবিউল ইসলাম। একই জায়গায় থেকে পড়াশোনা করতো ওই তিন শিশু। গত ১০ জুলাই রাত ৩টার দিকে শিশুদের পোষাক খুলে বলাৎকারের চেষ্টা করেন রবিউল ইসলাম। পরেরদিন সকালে বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায় শিশুরা। পরে গোসাইরহাট থানায় মামলা করা হয়।
ভুক্তভোগীর এক বাবা বলেন, আমার শিশু ছেলেসহ আরো দুইজন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ওই মুয়াজ্জিনের কাছে কোনো শিক্ষার্থীই নিরাপদ নয়। আমি এ ঘটানায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গোসাইরহাট থানার ওসি মো. আসলাম সিকদার বলেন, আসামি রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে। দুপুরে রবিউলকে আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে।
