যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি আয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, আগস্ট ০৯, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি আয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ

 

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি আয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি আয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ

সময় সংবাদ ডেস্ক:


মূল্যস্ফীতির চাপে বিশ্ববাজারে ভোক্তারা যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন প্রধান বাজার থেকে ভালো প্রবৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের পোশাক খাত। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানি আয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। মার্কিন সরকারের অফিস অব দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) প্রকাশিত তথ্যে এমনটাই উঠে এসেছে।


মঙ্গলবার এ তথ্য পাঠিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।


ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মার্কিন বাজারে অর্থের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬.৩৮ শতাংশ, যেখানে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১০.৮৩ শতাংশ।


এর আগে ইউরোস্ট্যাটের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ইউরোপের বাজারে রফতানির শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ইইউয়ে পোশাকের রফতানি বেড়েছে ৩৫.৬৯ শতাংশ।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পোশাক আমদানিকারক।


গত পাঁচ বছরে (২০১৭-২০২২) বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ১৩.৯৯ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে বার্ষিক আমদানি বেড়েছে ৪.৫০ শতাংশ।


ওটেক্সার তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্ব থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি বছরে ২২.৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২১ সালে মার্কিন ডলার ৮১.৫৮ বিলিয়ন থেকে ৯৯.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির ৯.৭৫ শতাংশ অংশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তৃতীয় বৃহত্তম পোশাকের উৎস, যা ২০২১ সালে ছিল ৮.৭৬ শতাংশ। ২০২২ সালে ইউএসএর বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বছরে ৩৬.৩৮ শতাংশ বেড়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ৯.৭৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৭.১৬ বিলিয়ন এবং ২০১৮ সালে ছিল ৫.৪০ বিলিয়ন ডলার। প্রতি বর্গমিটার সমতুল্য পরিমাপ করা পরিমাণভিত্তিক পরিসংখ্যান দেখলে ইউএসএর পোশাক আমদানি বাংলাদেশ থেকে বছরে ২০.৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০২১ সালে ২.৬০ বিলিয়ন থেকে ২০২২ সালে ৩.১৪ বিলিয়ন এসএমইতে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ৩.১১ শতাংশ পরিমাণে কমেছে।


একই সময়ে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পোশাক আমদানির শীর্ষ উৎস এবং ২১.৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, ২০২২ সালে ডলারের মূল্যে ১০.৮৩ শতাংশ বছর বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ২০২২ সালে ২১.৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২১ সালে ছিল ১৯.৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৮ সালে ছিল ২৭.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


অন্যদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। ২০১৮ সালে ভিয়েতনাম থেকে ইউএসএর পোশাকের মূল্য ছিল ১২.২১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালে ছিল ১৪.৩৭ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২২ সালে ছিল ১৮.২৪ বিলিয়ন ডলার।


জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে শীর্ষ পোশাক রফতানিকারক। আমেরিকায়ও হিস্যা বেড়েছে ৮.৫ থেকে ৯.৭৫ শতাংশ। পোশাক রফতানির পরিমাণ, একক মূল্য ও উচ্চমূল্যের পোশাকের রফতানি বেড়েছে। তবে শঙ্কা হলো বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো ২০২৩ সালে এসে তা কমবে। এ জন্য ভরসা উচ্চমূল্যের পোশাক রফতানি বাড়ানো।



Post Top Ad

Responsive Ads Here