মোঃ মাজহারুল ইসলাম শিপলু, মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
এ যেনো পানিতেই কৃষকের বুনো স্বপ্ন শেষ হতে চলেছে। কতোনা আশা ছিলো ধানের ভালো ফলন হবে এবং ধান কেটে গোলায় কিংবা বাড়িতে উঠাবে কিন্তু এখন এমন এক পর্যায়ে এসে পৌছেছে যা আধা পাকা ধানই কেটে ঘরে তুলতে হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। উপজেলার অধিকাংশ এলাকায়ই বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়ে গেছে।
সরজমিনে ঘুরে উপজেলার পৌর সদরের পোষ্টকামুরী চরপাড়া, কুমারজানি, বাইমহাটি ইত্যাদি গ্রামের ধানের ক্ষেতগুলোতে প্রবল বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়েছে তা লক্ষ করা গেছে এবং উপজেলার উয়ার্শী, বহুরিয়া, ভাওড়া, আজগানা, তরফপুর, বানাইল ও আনাইতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে কৃষক। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান এখন বেশির ভাগই হচ্ছে চিটা।
উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের রোয়াইল গ্রামের মোঃ মফেজ মিয়া বলেন, আমার ৭০ডিসিমল/(শতাংশ) এই ক্ষ্যাতে প্রায় ২০হাজার টাকা খরচ করছি। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে এহন আমাগো মরনের জু অইছে। লাভ তো ওবই না এতো আদা পাকা ধান বেত্তে নিমু কেমনে হেই চিন্তা করবানছি। এহন না পাইরা নৌকা দিয়া ধান উটাইত্যাছি।
বহুরিয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আলী হোসেন বলেন, বেজায় কষ্ট করার পরও কোনো লাভ নাই, কামলা জেহানে ১০টা নাগতো সেইহানে ২০টা নাগতাছে, কলাগাছ কাইট্যা ভুরা দিইয়্যা এহন কাম করান নাগতাছে। বৃষ্টির কারণে খ্যাড় হুগাইতে পারতাছি না। আর খ্যাড়ও পইচা য্যাইতাছে গা। গরুরে কি খাওয়ামু কি করমু বুঝবার পারতাছি না। এ ক্ষতির দায়ভার কে নেবে এ নিয়ে কৃষকের মনে রয়েছে নানা প্রশ্ন?
তবে সাধারণ গৃহস্থরা বলছেন, এমনিতেই উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়, আবার তার মধ্যে কৃষি শ্রমিকের আকাশ ছোঁয়া দাম এতো আরও দুর্গতি। কৃষি শ্রমিকের জন্য বাজারে গেলে কৃষকের চেয়ে শ্রমিক অনেক বেশি, তবুও শ্রমিকরা স্বল্পমূল্যে কাজ করতে রাজি না! আনুমানিক ৭০০-৭৫০ টাকার নিচে কাজ করবে না বলে জানা গেছে। তবে গৃহস্থরা না পেরে বেশি মূল্য দিয়েই কৃষি শ্রমিকদের দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন।
পানিতে ধান নষ্ট হওয়ার কারণে কৃষকদের সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা কিংবা ভর্তুকি দেয়া হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মশিউর রহমান বলেন, বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা বা পুনর্বাসন আসে। তখন সারা বাংলাদেশে একযোগে দেয়া হয়। সেটা নীতি নির্ধারণের বিষয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মির্জাপুরে অধিকাংশ জায়গায় পানিতে ধান নষ্ট হয়েছে কিন্তু কৃষি অফিসার বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, উপজেলার কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির পানির কারণে ধান তলিয়ে যাওয়াতে কৃষকের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
এ যেনো পানিতেই কৃষকের বুনো স্বপ্ন শেষ হতে চলেছে। কতোনা আশা ছিলো ধানের ভালো ফলন হবে এবং ধান কেটে গোলায় কিংবা বাড়িতে উঠাবে কিন্তু এখন এমন এক পর্যায়ে এসে পৌছেছে যা আধা পাকা ধানই কেটে ঘরে তুলতে হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। উপজেলার অধিকাংশ এলাকায়ই বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়ে গেছে।
সরজমিনে ঘুরে উপজেলার পৌর সদরের পোষ্টকামুরী চরপাড়া, কুমারজানি, বাইমহাটি ইত্যাদি গ্রামের ধানের ক্ষেতগুলোতে প্রবল বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়েছে তা লক্ষ করা গেছে এবং উপজেলার উয়ার্শী, বহুরিয়া, ভাওড়া, আজগানা, তরফপুর, বানাইল ও আনাইতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে কৃষক। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ধান এখন বেশির ভাগই হচ্ছে চিটা।
উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের রোয়াইল গ্রামের মোঃ মফেজ মিয়া বলেন, আমার ৭০ডিসিমল/(শতাংশ) এই ক্ষ্যাতে প্রায় ২০হাজার টাকা খরচ করছি। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে এহন আমাগো মরনের জু অইছে। লাভ তো ওবই না এতো আদা পাকা ধান বেত্তে নিমু কেমনে হেই চিন্তা করবানছি। এহন না পাইরা নৌকা দিয়া ধান উটাইত্যাছি।
বহুরিয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আলী হোসেন বলেন, বেজায় কষ্ট করার পরও কোনো লাভ নাই, কামলা জেহানে ১০টা নাগতো সেইহানে ২০টা নাগতাছে, কলাগাছ কাইট্যা ভুরা দিইয়্যা এহন কাম করান নাগতাছে। বৃষ্টির কারণে খ্যাড় হুগাইতে পারতাছি না। আর খ্যাড়ও পইচা য্যাইতাছে গা। গরুরে কি খাওয়ামু কি করমু বুঝবার পারতাছি না। এ ক্ষতির দায়ভার কে নেবে এ নিয়ে কৃষকের মনে রয়েছে নানা প্রশ্ন?
তবে সাধারণ গৃহস্থরা বলছেন, এমনিতেই উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়, আবার তার মধ্যে কৃষি শ্রমিকের আকাশ ছোঁয়া দাম এতো আরও দুর্গতি। কৃষি শ্রমিকের জন্য বাজারে গেলে কৃষকের চেয়ে শ্রমিক অনেক বেশি, তবুও শ্রমিকরা স্বল্পমূল্যে কাজ করতে রাজি না! আনুমানিক ৭০০-৭৫০ টাকার নিচে কাজ করবে না বলে জানা গেছে। তবে গৃহস্থরা না পেরে বেশি মূল্য দিয়েই কৃষি শ্রমিকদের দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন।
পানিতে ধান নষ্ট হওয়ার কারণে কৃষকদের সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা কিংবা ভর্তুকি দেয়া হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মশিউর রহমান বলেন, বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা বা পুনর্বাসন আসে। তখন সারা বাংলাদেশে একযোগে দেয়া হয়। সেটা নীতি নির্ধারণের বিষয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মির্জাপুরে অধিকাংশ জায়গায় পানিতে ধান নষ্ট হয়েছে কিন্তু কৃষি অফিসার বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, উপজেলার কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির পানির কারণে ধান তলিয়ে যাওয়াতে কৃষকের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।