জলঢাকার মানুষ পেল প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্ধকৃত ঘর দারিদ্র জনগোষ্ঠির বাঁধভাঙ্গা আনন্দ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮

জলঢাকার মানুষ পেল প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্ধকৃত ঘর দারিদ্র জনগোষ্ঠির বাঁধভাঙ্গা আনন্দ


এরশাদ আলম, জলঢাকা প্রতিনিধিঃবীরেন্দ্র নাথ সরকার বাবা প্রয়াত সুরীত চন্দ্র বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম কাঠালি ইউনিয়নের দক্ষিন দেশিবাই কাচারি মাদ্রাসা পাড়ায়। তার স্বল্প সংখ্যক জমি রয়েছে অথচ কর্ম সংস্থানের অভাবে সংসার চালাতে গিয়ে নিজের ঘর টুকুও করতে পারেননি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিত্যদিন কাটাত দুর্ভোগের সহিত।

 হঠাৎ সে জানতে পারল দেশ রতœ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসাবে যাদের জমি আছে ঘর নাই এর আওতায় আসতে দ্রুত ছুটে গেলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়ের কাছে। তিনি জানালেন, সরকারের এ প্রকল্প সারাদেশে বিদ্যমান ।আমার উপজেলায় ও দরিদ্র মানুষেরা এ ঘর পেয়ে অবশ্যই আনন্দিত হতে পারেন। শুধু বীরেন্দ্র নাথ নয় দক্ষিন দেশিবাই রঙ্গের বাজারের বিন্যাবাড়ির পাশে প্রয়াত পদরাম রায়ের ছেলে নিশি বালা রায় প্রয়াত সনদ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী সুন্দরি বালা প্রয়াত আকবরের স্ত্রী শাহেদা বেগম এ ঘরগুলো পেয়ে প্রধান মন্ত্রীকে কিভাবে তাদের বাধ ভাঙ্গা আনন্দ জানাবে সেটাই কৌতূহল।সর্বমোট উপজেলার ৩২৭ টি পরিবার এ প্রকল্পের আওতায় এসেছে। পৌরসভা মাথাভাঙ্গার রজনিকান্ত রায়ের ছেলে অন্যদা মোহন উত্তর বগুলাগাড়ির জোনাব আলীর ছেলে আরজিনা বেগম উত্তর বগুলাগাড়ির সাইদুলের ছেলে এনামুল হক বগুলাগাড়ি পশ্চিম পাড়ার সজম উদ্দিনের ছেলে শহীর উদ্দিন জানান সরকারের এ উদ্দেগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার । আমরা আগামিতেও নৌকায় ভোট দিব। প্রতিটি ঘর সাড়ে ষোল ফিট বাই সারে পনের ফিট করে নির্মান করা হয়েছে । ঘর গুলোর ফ্লোর পাকা। সামনে টিন দিয়ে নির্মিত হচ্ছে খোলা বারান্ডা । এছারাও রয়েছে লেট্টিনের সু ব্যবস্থা । প্রতিটি ঘর নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ টাকা করে। এর মাধ্যমে সমাজের অসহায় দরিদ্র ভাসমান মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ঘর প্রাপ্তির ফলে সমাজের অবহেলিত মানুষ হুলোকে সামাজিক মূল্যাযন বৃদ্ধি সহ মুক্তি মিলবে। অর্থের অভাবে ঘর করতে পারেননি বর্ষা মৌসুম ও শীতে সবে চেয়ে বেশি কস্ট পেতে হত। তাদের এখন প্রধান মন্ত্রীর দেওয়া ঘরে থাকবেন। আর কষ্ট পেতে হবেনা তাদের জানালেন উপকার ভোগিরা। নীলফামারী-৩ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এই প্রথম সুবিধা পেল শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমার আসন থেকে আমি নিজে করতে পেরে ডিজিটাল বাংলাদেশকে আর ধাপ এগিয়ে দিয়েছি, আগামীতে আমি নির্বাচিত হলে দারিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য কর্মস্থানের ব্যবস্থা করে দেব, গড়ে তুলব শিক্ষা ও শিল্প নগরী। এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মানিক লাল দত্ত বলেন, প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প থেকে যেন সত্যিকারের কোনো দরিদ্র পিছিয়ে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে উপজেলা প্রশাসনকে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here