দোয়ারায় বিভিন্ন স্কুলে প্রাক প্রাথমিক ও স্কুল সংস্কারের স্লিপ বরাদ্ধের লাখ লাখ টাকা হরিলুট - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮

দোয়ারায় বিভিন্ন স্কুলে প্রাক প্রাথমিক ও স্কুল সংস্কারের স্লিপ বরাদ্ধের লাখ লাখ টাকা হরিলুট

হারুন অর রশিদ দোয়ারাবাজার  প্রতিনিধিঃ     দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন  সরকারী প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে স্লিপের টাকায় অনিয়ম! বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বা স্কুল লেভেল ইম্প্রুভমেন্ট প্লান (স্লিপ)-এর টাকা হরিলুট হয়েছে দোয়ারাবাজারে। অনেক স্কুলে টাকা উত্তোলনের তিন মাস অতিবাহিত হলেও কাজ করা হয়নি।

অভিযোগ উঠেছে, কোনো কোনো স্কুলের প্রধান শিক্ষক নামমাত্র কাজ করে দায় সেরেছেন। আবার কোনো কোনো প্রধান শিক্ষক জোড়াতালি কাজ করেই টাকা হজমের চেষ্টা করেছেন।

দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৯৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় গত অর্থবছরে ৪০ হাজার করে স্লিপের টাকা বরাদ্দ পায়। বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩৮ লাখ  টাকা। বরাদ্দের সমুদয় টাকা পাওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু করেননি বেশীরভাগ  প্রতিষ্ঠান। অথচ সকল বিদ্যালয়ের বরাদ্ধকৃত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে গত ৩০ জুন ২০১৮ ইং। 
জানা যায় দাপ্তরিক নির্দেশনা ছিল নিজেদের টাকা দিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানে কাজ সম্পাদন করে বিল উত্তোলন করার। এ নির্দেশনাও মানা হয়নি।
অন্যদিকে কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু হলেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের দোয়ারাবাজার উপজেলার ১০৪টি সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৫টি প্রতিষ্ঠানে স্লিপ ফান্ডে স্কুল লেভেল ইমপ্রভুমেন্ট প্লান এর আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয় ৪০ হাজার টাকা করে বরা্দ্ধ পায়। যেখানে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ, প্রয়োজনীয় উপকরন, বিদ্যালয়কে আর্কষণীয় করন, এবং প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য পাটের মাদুল, শিশু শ্রেনীর জন্য শ্রেণী কক্ষ, আকর্ষণীয় করার জন্য প্রতি বছর ৫ হাজার টাকা করে  মোট ৫,লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারি বিধি মালায় এসকল কাজের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। যা বাস্তবায়নে গড়িমসি ও অনিয়ম হচ্ছে সর্বত্র।  
সরেজমিনে ইদুকোনা হকনগর গাছগড়া ভুজনা আলমখালী,বালিছড়া, কাঠালবাড়ী,পেকপাড়া সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পেস্কারগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ঘুরে দেখা গেছে কিছু কাজ 
এছাড়া একাদি প্রতিষ্টানে  পুরাতন কাজগুলোকে নতুন কাজ বলে অনিয়মের মাধ্যমে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার লোক জন জানান প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে টাকা হরিলুট করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান সরকার বরাদ্দ দিয়ে থাকেন বিদ্যালয় সজ্জিত করার জন্য কিন্তু বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হওয়ায় আমরা সঠিক ভাবে কাজ করতে পারিনা। আবার উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস ও শিক্ষা অফিসে ভাগ দিতে হয়। শিক্ষক সমিতির নামে ২%টাকা দিতে হয়েছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে ভালো কাজ হয়েছে তবে উপজেলার বেশীর ভাগ বিদ্যালয়ের অবস্থা  খুবই নাজুক অবস্থা। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে তিন বছর স্লিপের কোন কাজ হয়নি, হলেও নামে মাত্র হয়েছে। 
শিক্ষক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন কিছু কিছু শিক্ষক চুর তাদের চুরি ঢাকতেই ঘুষ দিয়ে থাকতে পারেন,চুর শিক্ষকদের শাস্থি দাবি করেন।
এব্যাপারে উপজেলা  শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক বলেন স্লিপ প্রকল্পের টাকার কাজ প্রতিটি বিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা,  স্লিপ প্রকল্পের কাজে কোন বিদ্যালয়ে অনিয়ম পাওয়া গেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Post Top Ad

Responsive Ads Here