চরভদ্রাসনে গ্রাম্য ডাক্তার প্রশিক্ষন কোর্সে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Friday, August 02, 2019

চরভদ্রাসনে গ্রাম্য ডাক্তার প্রশিক্ষন কোর্সে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

চরভদ্রাসন প্রতিনিধি-ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে গত ক’দিন ধরে গ্রাম্য ডাক্তার রিফ্রেসার্স ট্রেনিং কোর্স করা হচ্ছে। আর.এম.পি ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত ২১ দিন ব্যাপী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গ্রাম্য ডাক্তার রিফ্রেসার্স ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়। এতে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বহিঃরাগতদের অন্তর্ভুক্তি করা সহ অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। 

এ ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির জন্য প্রতিজন গ্রাম্য ডাক্তারের কাছ থেকে ৪ হাজার তিনশত টাকা সরকার কর্তৃক ফি নির্ধারন করা হলেও জনপ্রতি ৮ হাজার একশত টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া গত বছর ট্রেনিং প্রাপ্ত গ্রাম্য ডাক্তারদের পূনঃবার রিফ্রেস করার জন্য এ রিফ্রেসার্স ট্রেনিং কোর্সে অন্তর্ভুক্ত করার শর্ত থাকলেও কিছু নতুন মুখ নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ওই ট্রেনিং কোর্সের আয়োজক গ্রাম্য ডাক্তার মো. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এ ট্রনিং কোর্সের জন্য ফি নির্ধারন করা হয়েছে জনপ্রতি ৫ হাজার ৫শ’ টাকা। এর সাথে আনুসঙ্গিক ব্যয় মিলিয়ে আমরা জনপ্রতি ৮ হাজার একশত টাকা করে নিচ্ছি। আর গ্রাম্য ডাক্তার রিফ্রেসার্স ট্রেনিং কোর্সে দু’একজন নতুন মুখ আছে কিনা তা তার জানা নাই বলে তিনি জানান”। ওই ট্রেনিং কোর্স আয়োজকদের মধ্যে আরেকজন ফরিদপুর আর.এম.পি ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি এর সভাপতি গ্রাম্য ডাক্তার আবুল বাসার বলেন, “ আমরা কত টাকা বা কি নিয়ে ট্রেনিং কোর্স করাচ্ছি তা নিয়ে সাংবাদিকদের মাতামাতির দরকার কি”। 
স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে গ্রাম্য ডাক্তারদের প্রশিক্ষন প্রদানকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, “গ্রাম্য ডাক্তার রিফ্রেসার্স ট্রেনিং কোর্সে সদস্য ভর্তি ও ফি আদায় সহ অন্যান্য বিষয়গুলো আমাকে কিছুই জানানো হয় নাই। আমাকে শুধু ট্রেনিং কোর্সে পাঠদানের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কোর্সে কতজন ভর্তি হয়েছে সে বিষয়টিও অফিস করণিক হায়দার হোসেন বরতে পারবেন”। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করণিক হায়দার হোসেন জানান, “ গ্রাম্য ডাক্তার রিফ্রেসার্স ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। আর আমার কাছে মাত্র আট জনের ভর্তি ফাইল দেওয়া হয়েছে। বাকী ২৪ টি ফাইল ট্রেনিং কোর্সের আয়োজক আবুল কালাম আজাদ দেই দিচ্ছি বলে আর দেন নাই, তিনি গোপন করে রেখেছেন”। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রশিক্ষন কোর্সে অংশ গ্রহনকারী কয়েকজন গ্রাম্য ডাক্তার বলেন, “ আমাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এ বছর আবারও আমরা প্রশিক্ষন কোর্সে ভর্তি হয়েছি। গত বছর যে পরিমান ভর্তি ফি দিয়েছি এ বছর তার দ্বিগুন পরিমান টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা আমাদের প্রত্যেকের ভর্তি ফরমের মধ্যে কোনো টাকার অঙ্ক উল্লেখ করতে দেয় নাই বলেও গ্রাম্য ডাক্তাররা অভিযোগ করেন”।

No comments: