পুলিশের অনুমতি ছাড়াই ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, অক্টোবর ১৩, ২০১৯

পুলিশের অনুমতি ছাড়াই ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ

সময় সংবাদ ডেস্ক//
দীর্ঘ ১০ বছর পর পুলিশের অনুমতি উপেক্ষা করে রাজধানীতে সমাবেশ করেছে বিএনপি।শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ করে দলটি।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সমাবেশের অনুমতি চাইতে দুই দফা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম  আজাদ।

সেখান থেকে ফিরে এ্যানি জানান, তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সমাবেশ ২টার দিকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করেন। কার্যালয়ের অদূরে কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশের বসানো চেকপোস্টে নেতাকর্মীরা বাধার মুখে পড়েন। তবে বাধা উপেক্ষা করে কার্যালয়ের সামনে গিয়ে জড়ো হন। এ সময় সড়কে যান চলাচলে স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ঘিরে রাখে। একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের সংখ্যা বাড়লে পুলিশ সরে যায়।

সমাবেশস্থলের বিপুলসংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় সাঁজোয়া যান এবং জল কামানবাহী গাড়ি।

নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার পর থেকে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় চেয়ার পেতে বসে পড়েন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।

এরপর দুপুর ২টার পর আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও মির্জা আব্বাস।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে থাকায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে, দেশের গণতন্ত্র মুক্ত হবে।

ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ফেনী নদীর পানি উত্তোলনে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি দিয়েছেন, সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে সম্মতি দিয়েছেন, উপকূলে যৌথ নজরদারির নামে ভারতকে ২০টি রাডার বসানোর অনুমতি দিয়েছেন। আমরা যে এলপিজি আমদানি করি তা ভারতে রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছেন। এ চুক্তির প্রতিটি বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী। চুক্তির আগে থেকেই ভারত ৩৬টি পাইপ দিয়ে ফেনী নদীর পানি জোর করে তুলে নিয়ে গেলেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেননি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গ্যাস না দেওয়ার জন্য ২০০১ সালে তিনি ক্ষমতায় আসতে পারেননি। তাহলে এবার কি তার খেসারত দিলেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সমাবেশে আগত দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার নেতাকর্মীদের থানা থেকেই মুক্তি দিতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here