নিরেন দাস(জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:-
জয়পুরহাটে আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ওরফে বাবলু মহরী সহ ২ জনের নামে মোহনপুর উত্তরপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জয়পুরহাট গ অঞ্চল আমলী আদালতে মামলা করেছে ওই গ্রামবাসীর পক্ষে জাকির হোসেন। যাহার মামলা নং- ১০৫পি/১৯। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামীরা হলেন- আক্কেলপুর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দীনের ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমান ও একই গ্রামের মৃত কিনু মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মোহনপুর উত্তরপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের হাবিবুর রহমান ওরফে বাবলু মহরী সভাপতি ও আব্দুল ওয়াহেদ মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা। উক্ত মসজিদের প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন মুসল্লি ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। মসজিদের ইটের গাথুনির উপরে টিন সেট দেওয়া ছিল। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিদার্থে মসজিদটি সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, কাতার চ্যারিটি সংস্থা থেকে মসজিদের নামে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। অতপর গত ইং ২২/১১/১৭ তারিখে ১ নং আসামী হাবিবুর রহমানকে মসজিদটি পুর্ননির্মানের জন্য সর্ব সম্মতি সিদ্ধান্তক্রমে সব দায়িত্ব ও ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এছাড়া এই কমিটিতে উপদেষ্টা রাখা হয় আব্দুল ওয়াহেদকে। গত ০৫/১১/২০১৫ ইং তারিখে ১৩৯/১৫ নং এফিডেভিড মুলে সভাপতির দায়িত্বভার দেয় মসজিদ কমিটিরা। পরে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করার পর ২২/১১/২০১৭ ইং তারিখে পুরাতন মসজিদ অপসারণ করে নতুন মসজিদ ঘর নির্মানের জন্য অবকাঠামো ইট,টিন,বাশ, জানালা-দরজা বাটাম মিলে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা। মসজিদের নামীয় জমিজমা ও পুকুর লিজ বাবদ ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা পুর্বের কমিটির দেওয়া ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৩০ টাকা, স্থানীয় এমপিসহ বাহিরের ধর্মপ্রান ব্যক্তিদের দান বাবদ ৫ লাখ ৮ হাজার ৯শ টাকা, কাতার চ্যারিটি সংস্থা হইতে অনুদান ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যক্তি প্রদত্ত দেওয়া নির্মান সামগ্রী ইট সিমেন্ট বালি ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা, সিমেন্ট বাবদ ৮৩ হাজার টাকা, ওযু খানার জন্য অনুদান ৫৩ হাজার ৮শ টাকা মোট- ৩০ লাখ ১৬ হাজার ৯শ ৩০ টাকা ১ নং আসামী সভাপতি হিসেবে বুঝিয়ে নেন। ১ নং আসামী ২ নং আসামী সহিত একত্রে মসজিদের কাজ শুরু করে এবং দেখাশুনা করেন। কাতার চ্যারিটি প্রদত্ত অনুদানের টাকার সভাপতি গোপনে উত্তোলন করে । তারা এফিডেভিড অনুযায়ী প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার জুম্মার নামায শেষে আয় ব্যয়ের হিসাব রেজুলেশন পড়ে শোনানোর কথা থাকলেও ১নং এবং ২নং আসামী কোন হিসাব নিকাশ দেয়নি। তারা স্বেচ্চাচারিতা ভাবে মসজিদের বর্তমানে কমবেশি ১০/১২ লাখ ব্যয় করিয়াছেন। অবশিষ্ট প্রায় ১৮ লাখ টাকা ১ নং আসামী ও ২নং আসামী আত্মসাত করেছে। তারা গত ৩/৪ মাস যাবৎ মসজিদে জুম্মার নামাজও আদায় করতে আসেন না। মসজিদের কোন খোজ খবরও রাখেননা। মসজিদ কমিটির এবং গ্রামের সকল লোকজন উক্ত আসামীদেরকে আয় ব্যয়ের হিসাব চাইলে তারা কোনরুপ হিসাব না দিয়েই উল্টো বলে, ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাওনা আছে বলে দাবি করে। আসামীরা মসজিদ নির্মানের কোন প্রকারের আয় ব্যয়ের হিসাব খরচের ভাউচার কমিটিতে বা মুসল্লিদের সামনে দেখায়নি বা জমা করেনি।