হিজাব পরায় সমাবর্তনে ঢুকতে বাধা, স্বর্ণপদক নিতে অস্বীকার ছাত্রীর রাবিহা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯

হিজাব পরায় সমাবর্তনে ঢুকতে বাধা, স্বর্ণপদক নিতে অস্বীকার ছাত্রীর রাবিহা




সময় সংবাদ ডেস্ক//
একদিকে যখন পোশাক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যে ভারতজুড়ে বিতর্কের ঝড় বইছে, ঠিক তখনই শিক্ষাক্ষেত্রেও পোশাক নিয়ে সমস্যায় পড়তে হল এক ছাত্রীকে। হিজাব পরে সমাবর্তনে যোগ দেওয়া যাবে না। অনুষ্ঠানে ঢুকতে গেলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ওই ছাত্রীকে। বলা হয়, সমাবর্তনে যোগ দিতে হলে হিজাব খুলে আসতে হবে। 

ঘটনা পুদুচেরী বিশ্ববিদ্যালয়ের। জানা গেছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশনে স্নাতোকত্তরে সর্বোচ্চ নম্বরের অধিকারী রাবিহা আব্দুরেহিম। তাই সমাবর্তনে তার হাতেই উঠত সোনার পদক। বিশ্ববিদ্যালয়ের জওহরলাল নেহরু অডিটরিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার হাত থেকেই হয়তো সাফল্যের পুরস্কার পেতেন রাবিহা। কিন্তু সেই সময় অনুষ্ঠানে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি তাকে। কারণ সেই হিজাব।

২০১৮ সালের ব্যাচের ওই ছাত্রী জানান, রাষ্ট্রপতি আসার কিছুক্ষণ আগেই তিনি অডিটরিয়ামে প্রবেশ করতে যান। কিন্তু সেখানেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে বাধা দেয়। বলা হয়, হিজাব খুলে না এলে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। নিরাপত্তারক্ষীদের প্রস্তাবে রাজি হননি রাহিবা। রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের পদক ও সার্টিফিকেট দিতে শুরু করে। কিন্তু গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে, সোনার পদক নিতে অস্বীকার করেন রাবিহা। শুধু সার্টিফিকেট নিয়েই বেরিয়ে আসেন তিনি।

ক্ষুব্ধ রাবিহা বলেন, “আমার সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, তার প্রতিবাদেই আমি পদক নিতে অস্বীকার করি। নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেয়। ওরা সন্দেহের চোখে দেখছিল আমাকে। যেন আমি কিছু একটা করার উদ্দেশ্যে ঢুকতে চাইছি। জানি না, ওরা কী ভাবছিল।”

এরপরই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (ঈঅঅ) প্রসঙ্গ উঠে আসে তার কথায়। বলেন, পুলিশ যেভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর করছে তার বিরোধিতা করছেন তিনি।

গোটা ভারতের শিক্ষার্থীরা বর্তমান পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ এই পদক নিতে অস্বীকার করেছেন তিনি। রাবিহার সঙ্গে এমন আচরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।


Post Top Ad

Responsive Ads Here