সোহান মাহমুদ জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা। শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এবারে ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫২ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ হাজার ৯’শ ৯০ হেক্টর জমির বিপরীতে চাষাবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫’শ ৭৫ হেক্টর জমিতে, গোমস্তাপুরে ১৪ হাজার ৫’শ ৬০ হেক্টর বিপরীতে ৯ হাজার ৭’শ ০৫ হেক্টর জমিতে, শিবগঞ্জে ৭ হাজার ৯’শ ৩০ হেক্টরের বিপরীতে ৩ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে, নাচোলে ৬ হাজার ৮’শ ৮৫ হেক্টরের বিপরীতে ১ হাজার ৫’শ ৮৫ হেক্টর ও ভোলাহাটে ৫ হাজার ৪’শ ৩৫ হেক্টর জমির বিপরীতে ৩ হাজার ৪’শ ৮৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এবারে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৮’শ হেক্টর। গত বছর ৫০ হাজার ৭’শ ৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল। তবে, এবার ৩ হাজার ৯’শ ৮৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ কম হয়েছে।
সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা ও নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের ঘাসুরা এলাকা গিয়ে দেখা যায়, মাঠেমাঠে বোরোর আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা।
কৃষক শাহলাল ও সোহরাব আলী জানান, আমন ধানের ফলন কম হওয়ায় এবার তারা বোরো ধানের আবাদ করছেন। কৃষকরা বলছেন, এ ধান আবাদে বাড়তি পানি লাগে। সেক্ষেত্রে গভীর নলকূপের পানির জন্য ১৫০০-১৬০০ টাকা খরচ লাগে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবারে বোরো ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ভাল হবে। তারা আরো বলেন, সারের দাম কম থাকায় কিছুটা সুবিধা পাওয়া গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, বীজের অবস্থা ভাল থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। এ ধান আবাদে পানির পরিমাণ বেশী লাগে। এটি পরিবেশ বান্ধব নয়, কৃষি বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে বোরো আবাদ কমাতে। যেগুলো ফসলে পানি কম লাগে এর বিকল্প হিসেবে গম, ভূট্টা ও সরিষা চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৫’শ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। চলতি মাসের শেষদিন পর্যন্ত এর আবাদ চলবে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ মেট্রিক টন।
No comments:
Post a Comment