গাজীপুরের কালীগঞ্জ জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিসৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতের এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে ওই প্রসূতির পরিবারের সঙ্গে লাখ টাকায় রফা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহত মিশু বেগম ওই উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউপির বেতুয়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার স্ত্রী।
জানা গেছে, প্রসব ব্যথা নিয়ে শুক্রবার সকালে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বালীগাঁওয়ের জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন মিশু বেগম। ওইদিন বিকেলে সিজারের মাধ্যমে তার একটি মেয়ে হয়। ওইরাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মিশু বেগমের মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মীমাংসার নামে ওই প্রসূতির পরিবারকে এক লাখ টাকা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে মিশুকে দাফন করে পরিবার।
আরো জানা গেছে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডা. মাইনুল ইসলাম ওই প্রসূতির সিজার করেন। বছর দেড়েক আগেও তার ভুল কালীগঞ্জ পৌরসভার ভাদগাতী গ্রামের এক নবজাতকের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নিহত মিশু বেগমের দেবর লিটন মিয়া জানান, ওই চিকিৎসক সিজার করতে গিয়ে জরায়ু কেটে ফেলেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মিশু মারা যান। তারা গরিব হওয়ায় প্রভাবশালীদের চাপে রফা করতে বাধ্য হয়েছেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের এক লাখ টাকা দেয়।
এ বিষয়ে জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। আপনি হাসপাতালে এসে কথা বলেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সাদেকুর রহমান আকন্দ বলেন, লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো হাসপাতালেই মাতৃমৃত্য কাম্য নয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।