সময় সংবাদ ডেস্ক//
আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম চমকপ্রদ আবিষ্কার ড্রোনের বহুবিধ ব্যবহার বেড়েই চলছে। যুদ্ধ, পন্য সরবরাহ, কৃষি ও বিনোদনের পর এবার পাহারা দেবার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে এটিকে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে লেকসাইড সৈকতে সূর্যস্নানে আসা লোকজনের নগ্নতা বা পোশাক ছাড়া ঘুরে-বেড়ানো ঠেকাতে পাহারার কাজে ড্রোন ব্যবহার করছে স্থানীয় পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনে’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ১০ জুলাই টুইন লেকের সৈকতে সূর্যস্নানে আসা মানুষের নগ্নতা রোধে প্রথমবারের মতো এই ড্রোন ব্যবহার করে গোল্ডেন ভ্যালি পুলিশ বিভাগ ।
সিটি কমিউনিকেশন ডিরেক্টর শেরিল ওয়েইলার বলেন, সৈকতে নগ্নতা নিয়ে সম্প্রতি সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ করেছে। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সৈকতে নগ্নতা রোধে উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করা শুরু করেছে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, এ ধরনের ঘটনা সৈকতে কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। তবে পুলিশকে কেউ অভিযোগ করলে সেটাও দেখতে হবে।
সৈকতে ঘুরতে আসা এলসি ওলিন বলেন, এই সৈকত নিরিবিলি হলেও নিরাপদ ও আরামদায়কের জন্য বেশ পরিচিত।
পুলিশ সার্জেন্ট রান্ডি মাহলেন বলেন, উচ্চ অপরাধপ্রবণ এলাকায় ড্রোন ব্যবহার ও সার্ভিলেন্স ক্যামেরা ব্যবহারে তেমন কোনো পার্থক্য থাকার কথা নয়।
গোল্ডেন ভ্যালি পুলিশ বিভাগ সৈকতে ড্রোন ব্যবহার করা নিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল্প কয়েকজন স্টাফের এই ড্রোনের ফুটেজ পর্যবেক্ষণের অ্যাকসেস আছে। এই ফুটেজ কেবল নথি–প্রমাণ সংগ্রহ এবং আইনি কাজে ব্যবহার করা যাবে। সব ধরনের গোপনীয়তা বজায় রাখার বিষয়ে পুলিশকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তবে এলসি ওলিনসহ দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সৈকতে পুলিশের এই ড্রোন ব্যবহারে বর্ণবাদী আচরণ লক্ষ করা গেছে। ওলিন বলেন, সৈকতে দু-তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ বসে ছিলেন। তাদের দূর থেকেও খুব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। অথচ পুলিশ তাদের দিকেই সরাসরি ড্রোন চালিত করেছে।
জ্যাকব ক্যারিগান নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, সৈকতে পুলিশের উপস্থিতি একটা ভয়ানক ব্যাপার ছিল।
গোল্ডেন ভ্যালি পুলিশ বিভাগের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ড্রোনের ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যারা সৈকতে আইন ভঙ্গ করছেন, ফুটেজ দেখে সৈকতে সরাসরি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই শহর ‘বর্ণবাদ ও বৈষম্যের’ তীব্র নিন্দা জানায়। এই শহরকে সব কমিউনিটির জন্য সম্মানজনক স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে।