গোপন বার্তা ফাঁস, উহানের গবেষণাগার থেকে ছড়ায় করোনা! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, জুলাই ১৮, ২০২০

গোপন বার্তা ফাঁস, উহানের গবেষণাগার থেকে ছড়ায় করোনা!


সময় সংবাদ ডেস্ক//
উহানের এই গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ছবি: আনন্দবাজার অনলাইন।

উহানের এই গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ছবি: আনন্দবাজার অনলাইন।

চীনের উহান থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে অনবরত সংক্রমিত হচ্ছেন মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যাও নিয়মিত বাড়ছে। উহানের বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে সম্প্রতি চীনের মার্কিন দূতাবাসের এক গোপন বার্তা ফাঁস হয়েছে। এতে উহানের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।-খবর আনন্দবাজার অনলাইন।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস চীনের গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি স্বপক্ষে যুক্তির জন্য প্রমাণ থাকার হুঁশিয়ারি দেন। গত এপ্রিলে উহানের বাজারের বাদুড় বা প্যাঙ্গোলিন থেকে নয়, উহানের গবেষণাগার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়ায় বলে প্রথম মত দেন ট্রাম্প।

মে মাসে ট্রাম্প বলেন, আমার কাছে নথিপত্র রয়েছে। আমি নিশ্চিত, উহানের গবেষণাগার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। তবে কীভাবে নিশ্চিত হলাম, সেটা জানাতে পারব না। সেটা আমার উচিতও নয়। একই অভিযোগ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

২০১৮ সালের ওই গোপন বার্তায় উহানের গবেষণাগারের কর্মীদের দক্ষতায় এমন ভাইরাস নিয়ে কাজের জন্য জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে গত ডিসেম্বরে ভাইরাসটি ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।

বিদেশ দফতরের ফাঁস করা ওই গোপন বার্তায় দাবি করা হয়েছে, ২০১৮ সালে উহানের ওই গবেষণাগার ঘুরে দেখতে যান চীনের মার্কিন দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন, দক্ষ কর্মীর যথেষ্ট অভাব। ভাইরাস নিয়ে কাজ করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থারও ছিল অভাব।

সেই গোপন বার্তায় অভিযোগ করা হয়েছিল, বাদুড়ের শরীর থেকে পাওয়া সার্সের মতো বিভিন্ন করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটানোর মতো সার্স করোনাভাইরাস নিয়ে উহানের গবেষণাগারে কাজ করছিলেন বিজ্ঞানীরা।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটি’-র অধিকর্তা ইয়ান লিপকিন বলেন, এটা ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ছড়ানো হয়েছিল, এমন কোনো নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ হাতে নেই। অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে অপরাধী বানিয়ে দেয়াটা উচিত হবে না। অনুমানটা প্রমাণ করতে হবে।

এদিকে উহানের গবেষণাগারে দক্ষ কর্মীর অপ্রতুলতা নিয়ে ততটা গুরুত্ব দিতে রাজি হননি মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের হেল্থ ও বায়োসিকিওরিটি বিভাগের কর্মকর্তা রব গ্রেনফেল বলেন, এটা তো পৃথিবীর সব গবেষণাগারের সমস্যা। এতে নতুন কিছু দেখছি না।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর হেল্থ সিকিওরিটি’ বিভাগের কর্মকর্তা টম ইংলেসবাই বলেন, গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর দাবি পুরোপুরি মেনে নেয়ার মতো কিছুই ওই গোপন বার্তায় নেই। আবার এমন দাবি উড়িয়েও দেয়া হয়নি।


Post Top Ad

Responsive Ads Here