নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ফাহিম হত্যায় গ্রেফতার হ্যাসপিল - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, জুলাই ২০, ২০২০

নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ফাহিম হত্যায় গ্রেফতার হ্যাসপিল

সময় সংবাদ ডেস্ক//
রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ (৩৩) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার টাইরিস হ্যাসপিল (২১) নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এ বিষয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবীরা।

দাতব্য সংস্থা লিগ্যাল এইড সোসাইটি নিযুক্ত হ্যাসপিলের দুই আইনজীবী এক বিবৃতিতে বলেছেন, সত্য উদঘাটনের অত্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে সবাই। এই মামলা অনেক দীর্ঘ এবং জটিল হতে চলেছে। এ জন্য সবাইকে খোলামনে চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।


এদিকে, হ্যাসপিলের এক আত্মীয় দাবি করেছেন, ছোটবেলা থেকে কিছু সমস্যা থাকলেও কখনোই আক্রমণাত্মক ছিলেন না এ তরুণ। হ্যাসপিলের ফুফু মারজোরি সাইন জানান, ভাইপোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখে তিনি খুবই আশ্চর্য হয়েছেন।

৫২ বছর বয়সী এ নারী জানান, শিশুকাল থেকেই অত্যন্ত চুপচাপ প্রকৃতির ও একসময় বেশ বিরক্তিকর হয়ে উঠেছিল হ্যাসপিল। পরে তাকে পালক বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়।


সাইন বলেন, সে সবসময় নিরুদ্বিগ্ন থাকত। মন যা চাইত তা-ই করত।


হ্যাসপিলের উদ্বেগহীন থাকার স্বভাব অবশ্য এখনও যায়নি। ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ড ও গ্রেফতার হওয়ার মাঝের সময়টাতেও বেশ নিরুদ্বিগ্নভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে এ অভিযুক্তকে। একাধিক ভিডিও ফুটেজে তাকে ফাহিমের বাসা থেকে মাত্র মাইলখানেক দূরে ম্যানহাটানের নোহো এলাকায় খোশমেজাজে ঘুরতে দেখা গেছে। এমনকি, ফাহিমের কাছ থেকে চুরি করা একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে একগুচ্ছ জন্মদিনের বেলুনও কিনেছিলেন তিনি। পুলিশ তার কাছ থেকে ওই ক্রেডিট কার্ডটি উদ্ধার করেছে।

হ্যাসপিলের বিষয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই লোকটি হচ্ছে আমেরিকার নতুন সাইকো, তবে হাবাগোবা।’

গত মঙ্গলবার নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে নিউইয়র্কের পুলিশ। তার হাত, পা, মাথা সব বিচ্ছিন্ন করা ছিল।

তদন্ত কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, ফাহিমকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে মরদেহ স্যুটকেসে ভরে গুম করার পরিকল্পনা ছিল খুনির। তবে, কেউ এসে পড়ায় হয়তো কাজ অস্পূর্ণ রেখেই পালিয়ে যায় সে।


জানা যায়, ফাহিমের বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীতে। ফাহিম ইনফরমেশন সিস্টেম বিষয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। গত বছর প্রায় সাড়ে ২২ লাখ ডলার দিয়ে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে একটি অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছিলেন তিনি। পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও নাইজেরিয়া এবং কলম্বিয়ায় এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক ছিলেন ফাহিম সালেহ।

সম্প্রতি ফাহিমের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ ডলার চুরি করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস হাসপিল। তবে, এ ঘটনায় কোনও আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে হ্যাসপিলকে কিস্তিতে টাকা ফেরত দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন ফাহিম।

তদন্তকালে গোয়েন্দারা ফাহিমের ফোনে পাওয়া একটি টেক্সট মেসেজ থেকে এই টাকা চুরির বিষয়ে জানতে পেরে হ্যাসপিলের ওপর নজরদারি শুরু করেন। পরে, গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) গ্রেফতার করা হয় তাকে। গ্রেফতারের পরপরই হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনা হয়।


Post Top Ad

Responsive Ads Here