মিন্নির রায় শুনে যা বললেন বাবা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

মিন্নির রায় শুনে যা বললেন বাবা





সময় সংবাদ ডেস্ক//

বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া এ মামলায় চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।


বুধবার দুপুরে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।


রায় দেয়ার পর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমরা আদলতে সঠিক রায় পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।


এদিকে, অন্যান্য দিন মিন্নিকে সঙ্গে নিয়ে বের হলেও আজ একাই আদালত চত্বর ত্যাগ করেন মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। মিন্নি এতদিন জামিনে ছিলেন। আজ তাকে জেলে নেয়া হবে।


এর আগে, মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সকাল ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে মিন্নিকে নিয়ে আদালতে আসেন। এ সময় মিন্নির মুখে সাদা মাস্ক ও সাদা থ্রি-পিছ পরা ছিলেন।


২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।


এ ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ। এতে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল। এরপর আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও দেখে মিন্নির বাবার বিরুদ্ধেও মামলা করার কথা জানান রিফাতের বাবা। একপর্যায়ে মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে ১৬ জুলাই রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে স্বামী হত্যায় ফেঁসে যান মিন্নি। পরদিন তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। দুইদিন পরে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।


রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।


১৬ সেপ্টেম্বর মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান রায়ের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।


এর আগে ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন।


চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হয়। এ মামলায় মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।




Post Top Ad

Responsive Ads Here