সময় সংবাদ ডেস্কঃ
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রতিদিন কোনো না কোনো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যতই দিন যাচ্ছে আশ্রিত রোহিঙ্গারা ভয়ঙ্কর সব অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অ-নিয়মতান্ত্রিক কাজে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের।
গতকাল রোববার টেকনাফ উপজেলার ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (শালবাগান) এইচ ব্লক থেকে অজ্ঞাত এক রোহিঙ্গা শরণার্থী ফায়োকা বিবি নামে এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে অপহরণ করেছে।
এর আগে, গত শুক্রবার ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক এ-এর হেডমাঝি ইলিয়াসের ছেলে মো. সাইদুল অপহরণ হন এবং একদিন পর ডাকাত দল তাকে ছেড়ে দেয়। অপহৃত ব্যক্তি অপহরণকারীর নাম হিসেবে তার দুই বন্ধু নুর ফয়েজ এবং মো. ছাদিয়ার নাম এপিবিএন পুলিশকে জানায়। গতকাল রোববার ওই আসামিদের আটক করা হয়।
অপর দিকে গতকাল রোববার টেকনাফের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক ডি/১ ও ডি/২-তে বাঙালি সন্ত্রাসী ইব্রাহীম, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হোসাইন মরোয়ান, হারুন, জাবু ও ১৫-১৬ জন রোহিঙ্গা অস্ত্রসহ ব্লকের পাহাড়ে অবস্থান করছে বলে জানা যায়। পরে বিষয়টি আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার অবগত হলে ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে দুইটি টহলদল ক্যাম্পের ডি/১ ব্লকের ভেতর প্রবেশ করলে অবস্থানরত সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
গতকাল রোববার টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২২ এ নিরীক্ষণে জানা গেছে, গত শনিবার ব্লক ডি/১-তে স্থানীয় বাঙালি সন্ত্রাসী ইব্রাহীমসহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হোসাইন মরোয়ান, হারুন, জাবুসহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৭ জন মিলে রোহিঙ্গা রাজিব ৩০ হাজার ইয়াবা আত্মসাৎ করেছে মর্মে তাকে ও তার পরিবারকে নির্যাতন করে। বিষয়টি কোন প্রশাসনকে জানালে সবাইকে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।
এছাড়া গতকাল টেকনাফের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শহিদুল আমিন কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পায়। পরে কারারক্ষীরা দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন পুলিশের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেয়।