সময় সংবাদ ডেস্কঃ
আগামী অক্টোবর মাসে পদ্মাসেতুর সড়ক পথের কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
বাংলাদেশ সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মাসেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তার আগেই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য টোলের হার চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে টোলের হার নির্ধারণ করা হলেও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে তা চূড়ান্ত করা হবে। এজন্য চলমান রয়েছে এর প্রক্রিয়া।
গত জুলাই মাস থেকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় করার কথা ছিল। কিন্তু সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে। পদ্মাসেতু চালু হলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় করা শুরু হবে।
এদিকে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নং পিলারের ওপর সড়ক পথের শেষ স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সড়ক পথের ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পুরোটা।
পদ্মাসেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এগিয়েছে। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে (ব্যয়) ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তি মূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।
পদ্মাসেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এ সেতুর কাজ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে থাকে পদ্মাসেতু। ৪২টি পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান একে একে বসানো হয়। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। এতে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতু দৃশ্যমান হয়।