জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে বাবাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মেয়েকে অপহরণ করতে গিয়ে গণধোলাই খেয়েছেন পাঁচ বখাটে যুবক। পরে তাদের পুলিশে দেয় এলাকাবাসী।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের দক্ষিণ নুরুল্লাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটকদের কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদরে উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের বসুদুহিতা গ্রামের মো. আলির ছেলে রাসেল, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের সামছুল হুদার ছেলে রবিউল, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মাহফুজুর রহমানের ছেলে আরিফ, একই গ্রামের মো. হায়দারের ছেলে শাওন ও ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোরশেদ।
পুলিশ জানায়, মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে মাদরাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন রাসেল। নুরুল্লাপুর গ্রামে ছাত্রীদের বাড়ির আশপাশে বসতি কম। শনিবার রাতে তাকে তুলে নেয়ার উদ্দেশ্যে লোকজন নিয়ে রাসেল বাড়ির পাশে ওত পেতে থাকেন। দরজা বন্ধ থাকায় তারা ঘরে ঢুকতে পারেননি।
ছাত্রীর বড় বোনজামাই বাড়িতে এলে দরজা খোলা হয়। তাৎক্ষণিক আড়াল থেকে বের হয়ে এসে রাসেলসহ তার লোকজন ঘরে ঢোকেন। পরে ছাত্রীর বোনজামাই ও বাবাকে অস্ত্র ঠেকান। একপর্যায়ে ছাত্রীকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পালানোর চেষ্টা করেন তারা ৷ এ সময় তাদের চিৎকারে একটি অটোরিকশাকে প্রতিবেশীরা ধরে পুলিশে খবর দেন। অন্য দুটি অটোরিকশা ধরা সম্ভব হয়নি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রাসেলের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ থানায় অস্ত্র এবং মাদক মামলা রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অপহরণ মামলা করা হবে। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আজ রোববার লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে। জড়িত অন্যদের ধরতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।