ভোলা প্রতিনিধিঃ
সাগরে ট্রলিং জাহাজের ধাক্কায় ২১ জেলেসহ ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১জন উদ্ধার হলেও গত দুই দিনেও সন্ধান মেলেনি বাকি ২০ জেলের। নিখোঁজ হওয়া ২০ জেলের উদ্ধারে কোনো তৎপরতা নেই বলেও অভিযোগ করেছেন নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা।
মঙ্গলবার (৭ডিসেম্বর) বেলা ২টায় নিখোঁজদের সন্ধানে ট্রলার নিয়ে স্বজনরা সাগরে রওয়ানা করে। এদিকে এখনো আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় উদ্ধার তৎপরতায় গতি আনা যাচ্ছেনা বলে জানা গেছে।
ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া জেলে হাফিজ উদ্দিন (৩৮) বলেন,গত রবিবার রাত ১০টায় আমরা সোনার চর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার গভীর সাগরে জাল ফেলে বোটের উপরে দাড়িয়ে ছিলাম এসময় চট্টগ্রামের এফবি এসআরএল-৫ নামের একটি ট্রলিং জাহাজ আমাদের ট্রলারটিকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। আমরা সবাই পানিতে পড়ে যাই। আমি সারারাত হাবুডুবু খেয়ে পানিতে ভেসে ছিলাম। গতকাল সোমবার সকাল সারে নয়টার সময় একটি ট্রলার আমাকে দেখে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া ওই জেলে ট্রলার মালিক কামালের ভাই। আবদুল্লাহপুরের বাসিন্দা ট্রলার মালিক কামাল বলেন, গত শনিবার আমার ট্রলারটি ২১ জেলেকে নিয়ে ইলিশ শিকারে গভীর সাগরে যায়।
গত রবিবার রাতে চট্টগ্রামের ট্রলিং জাহাজ এফবি এসআরএল-৫ আমার ট্রলারটিকে ধাক্কা মেরে চলে যায় বলে উদ্ধার হওয়া হাফিজ উদ্দিন
আমাদের জানিয়েছেন। আর এতেই আমার ট্রলারটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
উপজেলা সিনিয়ির মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন,নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড কাজ করছে। কোস্টগার্ড দক্ষিণ কমান্ডার হারুনর রশিদ বলেন, ট্রলারটির নাম এফবি মা শামসুন্নাহার। আমরা পায়রা ৬ নম্বা বয়া থেকে ৪৫ কিলোমিটার পূর্বে এবং ঢালচর থেকে ৩১ কিলোমিটার দক্ষিণের সাগরে ট্রলার ডুবির স্থানে পর্যবেক্ষণে রয়েছি। আমাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ সংযুক্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, এসআরএল-৫ নামের জাহাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদ্ধার হওয়া জেলে হাফিজ মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজদের কোনো সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কাজ করছে, এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। প্রশাসন ঘটনাস্থলে নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছে। নিখোঁজ জেলেরা হলেন,আবুল বাশার (৪) আবদুল খালেক (৫৫) সুমন (৩৫) সাহিন (২৩) মিজান (১৩) হারুন মাঝি (৪০) ও বাচ্চু মাঝি,আলআমিন,ফারুক,জাবেদ,খালেক,ইউসুফ,জসিম জমাদার, রফিক, মাকসুদ, বাচ্চু, নুরুল ইসলাম, নুরে আলম, দিন ইসলামসহ মোহাম্মদ আলী ও নাগর। এ জেলেরা আবদুল্লাহপুর ও রসুলপুর এবং চর মানিকা ইউনিয়নের বাসিন্দা।