রায়গঞ্জে একটি রাস্তার অভাবে শত শত শিখ্যার্থীদের যাতায়াতের বেহাল দশা
মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাঙ্গাসী ইউনিয়নের গ্রামপঙ্গাসি চাঁনপাড়া থেকে উপজেলার শ্রীদাসগাঁতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সোঁজা কোনো রাস্তা না থাকায় খেতের কাঁচা আইল ধরে, বর্ষার সময় কাঁদা - পানি মাড়িয়ে প্রায় সময় জীবনের ঝুকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে কোমলমতি মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের। তাছাড়া বিদ্যালয়টির পাশেই রয়েছে, মাদ্রাসা, মসজিদ, ঈদগাহমাঠ, কবরস্হান সহ রয়েছে একটি এতিমখানা। এই ঐতিহ্যবাহী ইসলামাবাদ সাইদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার উন্নতি কল্পে তিনদিন ব্যাপি অনুস্ঠিত হয় বিরাট ওয়াজ মাহফিল। যেখানে আশপাশের কয়েক জেলার মুসল্লীগণ অংশ গ্রহণ করে থাকেন। সে খেত্রে অধিকাংশ মুসল্লিদের এই রাস্তাটিই ব্যাবহার করতে হয়। কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে বিকল্প হিসেবে এক কিলো রাস্তার পরিবর্তে তিনকিলো রাস্তা ঘুরে অত্র প্রতিস্ঠানগুলোতে যাতায়াত করতে হচ্ছে এ পথের হাজারো জনসাধারণকে। তারপরেও উক্ত রাস্তাটি ইট বিছানো, রাস্তার মাঝে মাঝে সৃস্টি হয়েছে বড় গর্তের। এব্যাপারে ৮ নং পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, এ ব্যাপারে এই মূহর্তে আমি কিছু বলতে পারছিনা। তাছাড়া আমি সবে মাত্র কয়েক দিন হলো সপথ নিয়েছি। তবে কমলমতি শিখ্যার্থীদের যাতায়াতের কস্টের কথা আমি ইতিমধ্যেই বুঝতে জানতে পারলাম আপনাদের মাধ্যমে। সময় সাপেখ্যে অবশ্যই ব্যবস্হা নেওয়া হবে। এদিকে শ্রীদাসগাঁতী গ্রামের মোঃ রহমতুল্লাহ বলেন, আমাদের এই এলাকা এখনো অবিহিলিত একটি এলাকা। আমাদের এই স্কুল অথবা মাদ্রাসা থেকে গ্রামপাঙ্গাসী চাঁনপাড়া পর্যন্ত একটি সোজা রাস্তা খুবই দরকার বলে আমি মনে করি। এখান থেকে সোজা কোনো রাস্তা না থাকায় চলাচলের চরম ভোগান্তির সিকার হতে হচ্ছে এ পথের স্কুল - মাদ্রাসার ছাত্র - ছাত্রী তথা জনসাধারণের। এমতাবস্হায় অন্ততপখ্যে অত্রান্চলের স্কুল - মাদ্রসার কোমলমতি শিখ্যার্থীদের যাতায়াতের কস্টের কথা বিবেচনা করে উক্ত স্হানে একটি সোঁজা রাস্তা নির্মানের জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপখ্যের নিকট জোড় দাবী জানিয়েছেন এ পথের হাজারো জনসাধারণ।