তৈমুর-কামালের বহিষ্কারে বিশৃঙ্খলা বিএনপিতে |
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, জেলার আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে তৈমুর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে পরাজয়ের পর তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সর্বশেষ দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য গণমাধ্যমে জানানো হয়।
এদিকে এটিএম কামালের বহিষ্কারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা গেছে।
তারা বলছেন, নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকার জয়ী হলে এই বিএনপিই ডেকে নিয়ে তাকে ও কামালকে ফুল দিয়ে সম্মান করত। কেন্দ্রীয় এসব সিদ্ধান্তের কারণেই নারায়ণগঞ্জে আজ বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান নিঃশেষ হতে চলেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, তৈমুরের নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ২৭টি ওয়ার্ডে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছিল। সাংগঠনিকভাবে বিএনপির শক্তির কিছুটা হলেও প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আর কোনো কর্মীকে রাজপথে টেনেও নামানো যাবে না।
এদিকে এ ব্যাপারে এটিএম কামালের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অবাক, বিস্মিত। আমার নামে চিঠি, অথচ এর আগেই কোনো মহল গণমাধ্যমে সেই চিঠি পাঠিয়ে দিল। আমি সব সময় শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কর্মী। সেখান থেকে আমাকে কেউ বিচ্যুত করতে পারবে না। যেহেতু দল করি, তাই দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নেব।
এদিকে কেন্দ্র থেকে ইস্যু হওয়া ঐ চিঠিতে এটিএম কামালকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক আপনাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বিএনপি একটি মূর্খ রাজনৈতিক দল। এখানে মেধাবী ও যোগ্যদের কোনো মূল্যায়ন হয় না। বিএনপিতে নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের বেছে বেছে কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। এসবের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়ে যে, এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে বিএনপি।
No comments:
Post a Comment