‘ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই আলমগীর এখন আসামী | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ০৮, ২০২২

‘ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই আলমগীর এখন আসামী | সময় সংবাদ



‘ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ বিজ্ঞাপনে ভাইরাল

‘ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই আলমগীর এখন আসামী | সময় সংবাদ
‘ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই আলমগীর এখন আসামী | সময় সংবাদ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

একে একে ফাঁস হচ্ছে ‘দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ বিজ্ঞাপনে ভাইরাল হওয়া সেই আলমগীর কবিরের সব খারাপ দিক। মাদকে আসক্তি, নারীদেহের প্রতি আকর্ষণ, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সুবিধা আদায়সহ তার নানা বদভ্যাস ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে। এসব যতই জানাজানি হচ্ছে, ততই হতবাক হচ্ছে মানুষ। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীও।


আলমগীর হোসেন ওরফে আলমগীর কবিরকে এসিআই লজিস্টিকসে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন এসপি সুদীপ। এরই মধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে আলমগীরকে, কয়েকদিন পরই যোগদান করবেন তিনি।


এমন অবস্থায় একের পর এক ফাঁস হয় আলমগীরের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট। আপত্তিকর ছবি আর অশ্লীল ক্যাপশনে ভরা সেসব পোস্ট ফাঁস হতে না হতেই ভাইরাল হয়ে যায়। এক পর্যায় তা চোখে পড়ে আলমগীরকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া বগুড়ার এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর। ‘নিরীহ’ ছেলে আলমগীরের এসব আপত্তিকর কর্মকাণ্ড দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে পড়েন তিনি।

‘ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই আলমগীর এখন আসামী | সময় সংবাদ
‘ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই আলমগীর এখন আসামী | সময় সংবাদ


এছাড়া আলমগীরের বাসস্থান বগুড়া শহরের জহুরুলনগর এলাকায় বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলমগীর কবির নামে এ যুবকের রয়েছে গাঁজা-ইয়াবাসহ নানা মাদকে আসক্তি। এছাড়া নারীদেহের প্রতিও তার রয়েছে আকর্ষণ। আলমগীরের ফেসবুক টাইমলাইনে ঢু মেরেও এসব তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিয়ার ক্যানের ছবি পোস্ট করে আপত্তিকর ক্যাপশন জুড়ে দিয়েছেন তিনি। এছাড়া তার পোস্ট-মাইডে তে নারীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে অশ্লীল ইঙ্গিত।


অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আলমগীর হোসেন ওরফে আলমগীর কবিরের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


এ বিষয়ে বগুড়ার এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ‘দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল হওয়ার পর আলমগীর কবির নামে ঐ যুবকের বিরুদ্ধে  মদপান ও নারী সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। পুলিশকে কেউ বিষয়গুলো জানায়নি। কোনো নারী বা ব্যক্তি অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখা হবে।


তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আলমগীরের দায়িত্ব এসিআই লজিস্টিকসের। মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে তার ডোপ টেস্ট করা হবে কিনা তা প্রতিষ্ঠানটির বিধিমালা অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।


উল্লেখ্য, আলমগীরের বিজ্ঞাপনটি বগুড়া শহরের জহুরুলনগর এলাকায় বৈদ্যুতিক পোল ও দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো হয়। পরে অনেকেই বিজ্ঞাপনটির ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন। খুব দ্রুত এটি ভাইরাল হয়ে যায়।


বিজ্ঞাপনে আলমগীর লেখেন, তিনি প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অঙ্ক ছাড়া সব বিষয়েই পড়াতে পারবেন। সাদা কাগজে প্রিন্ট আউটে তার ফোন নম্বরও উল্লেখ আছে। এছাড়া সেখানে লেখা আছে বগুড়া জহুরুলনগরের আশেপাশে এলাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াতে (গৃহশিক্ষক) চান তিনি। সকাল ও দুপুরের ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চান তিনি।


আলমগীর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। তিনি বগুড়া শহরের জহুরুলগর একতলা মসজিদ এলাকার পাশের একটি বাড়িতে বিনাভাড়ায় বসবাস করেন। ২০১৮ সালে তার মাস্টার্স শেষ হয়। পড়াশোনা শেষ হলেও তিন বছর ধরে বগুড়াতেই আছেন তিনি।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী আলমগীর জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সরাইল গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা মো. কফিল উদ্দিন পেশায় পল্লী চিকিৎসক, মা আম্বিয়া বেগম গৃহিনী।




Post Top Ad

Responsive Ads Here