অপরাধীদের কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, আগস্ট ০৯, ২০২২

অপরাধীদের কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ | সময় সংবাদ

 

"অপরাধীদের কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ | সময় সংবাদ"

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি  


গাছের চারা রোপণ ও বিভিন্ন  শর্তে অপরাধে অভিযুক্তদের কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে । মৌলভীবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান-এর আদালত এ রায় দেন।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে আদালত রায় দিয়ে বলেন, লঘুদণ্ডে অনেকেই কারাগারে গিয়ে আসামির সংস্পর্শে ভবিষ্যতে গুরুতর অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে। প্রবেশনের ফলে নিজেকে সংশোধন ও অপরাধ প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে অভিযুক্তরা উৎসাহী হবে। দেশের কারাগারগুলোয় প্রায় প্রতিদিনই ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত আসামি রাখা হচ্ছে। প্রবেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লঘু শাস্তি প্রাপ্ত অপরাধীরা সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরে আসবে ও কারাগারগুলো মাত্রাতিরিক্ত কয়েদি হতে ভারমুক্ত হবে। 



 

জানা যায় ২০১৫ সালের ১১ মার্চ  জুড়ি থানার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মারামারির ঘটনা কেন্দ্র করে চন্দন কুমার দাস বাদী হয়ে কবির আহমদ, , মুহিবুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। 


সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৩২৩ ধারার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অভিযুক্তদের জীবনে প্রথমবারের মতো অপরাধ বিবেচনায় ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুরুতর না হওয়ায় এবং আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রায় ৭ বছর নিয়মিত হাজিরা দেয়ার কারণে সংশোধনের সুযোগ দেয়ার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় আদালত ।


আদালত তাদেরকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ প্রদানকল্পে ‘প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্সের  ১৯৬০’ অধীনে ১০০টি গাছ রোপণ, নতুন করে কোনো অপরাধে জড়িত না হওয়া, মাদক সেবন থেকে বিরত থাকা, শান্তি রক্ষা ও সদাচরণ করা, আদালতের নির্দেশমত হাজির হওয়া ইত্যাদি শর্তে মুক্তি দেন আদালত। এই শর্তগুলো প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রবেশন কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করবেন।


প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নির্দেশনার আলোকে মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে এর দৃশ্যমান প্রয়োগ শুরু হয়েছে।  জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুল হোসেন ইকবাল বলেন প্রথম ও লঘু অপরাধের ক্ষেত্রে প্রবেশন খুব ইতিবাচক ও প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে অভিযুক্ত নিজেদের সংশোধনের চমৎকার সুযোগ পাচ্ছেন।  


মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক পিপি এএসএম. আজাদুর রহমান বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী কারাগারে আবদ্ধ কক্ষে নয়, মুক্ত বাতাসে পরিবার পরিজনের সান্নিধ্য পাবেন যা অভিযুক্তদের সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 


পাবলিক প্রসিকিউটর জনাব রাধাপদ দেব সজল বলেন, অধ্যাদেশটি অনেক পুরোনো হলেও প্রয়োগ ছিল না উক্ত অধ্যাদেশটির, এখন এর প্রয়োগের ফলে অনেক অপরাধী সংশোধনের সুযোগ পাবেন।




Post Top Ad

Responsive Ads Here