ব্রিটেনে নতুন আইন, ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়িতেই করা যাবে গর্ভপাত | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৫, ২০২২

ব্রিটেনে নতুন আইন, ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়িতেই করা যাবে গর্ভপাত | সময় সংবাদ

 

"ব্রিটেনে নতুন আইন, ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়িতেই করা যাবে গর্ভপাত | সময় সংবাদ"

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 


ব্রিটেনের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে কোনো নারী যদি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ১০ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করতে চান, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ সেবন করে বাড়িতেই তা করতে পারবেন।

বুধবার ব্রিটিশ সরকার এ বিষয়ক একটি আইন জারি করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির একাধিক সংবাদ মাধ্যম।



গত বছর কোভিড সংক্রমণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছানোয় দেশের হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ কমাতে প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। বুধবার তার আইনী স্বীকৃতি দেওয়ায় এখন থেকে ব্রিটেনের এ দু’ অঞ্চলের নারীদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করে বাড়িতে গর্ভপাতে আর কোনো বাধা রইল না।


ব্রিটেনের স্কটল্যান্ড অঞ্চলে ইতোমধ্যেই এ আইন চালু করা হয়েছে। ওয়েলসে চলতি বছরের প্রথম দিকেই এই আইন চালুর প্রস্তাব উঠলেও এত দিনে চালু হল এই নতুন বিধি।


গর্ভপাতে ইচ্ছুক নারীদের ব্রিটিশ চিকিৎসকরা মিফেপ্রিস্টোন নামের বা তার সমগোত্রীয় (জেনেরিক) দু’টি  ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। একটি ওষুধ খেলে অন্তঃসত্ত্বা সময়কালীন যেসব হরমোনের নিঃসরণ হয়, সেসবের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ওষুধটি খাওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আর একটি ওষুধ খেলে জরায়ু সঙ্কুচিত হয়ে চাপ তৈরি হয়, আর তার ফলেই হয় গর্ভপাত।


তবে ইচ্ছা করলেই বাড়িতে ওষুধ কিনে খাওয়া যাবে না। নতুন আইনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে গর্ভপাত করলে তা বেআইনি বলেই গণ্য হবে। এজন্য ওই নারীকে বিচারের মুখোমুখিও হতে হবে।


যুক্তরাষ্ট্রে যখন গর্ভপাত আইন নিয়ে চলছে হইচই, সেই সময়ে ব্রিটেনের দুই অঞ্চলে এমন আইনকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।


তাদের মতে, গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত এক জন নারীর নিজস্ব। একমাত্র তার চিকিৎসক এ নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন। যদি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে, শুধু সেক্ষেত্রেই আলোচনা সম্ভব। কিন্তু এ নিয়ে রাষ্ট্রের মতামতের কোনো জায়গাই নেই। এই আইন আরো আগেই আসা প্রয়োজন ছিল।





Post Top Ad

Responsive Ads Here