
"৬ টেস্ট রিপোর্টে ২ শিশু, প্রসব ১ | সময় সংবাদ"
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ছয়টি আল্ট্রাসনোগ্রাফি টেস্ট রিপোর্টেই দুটি বাচ্চা হওয়ার কথা তবে সিজারিয়ান অপারেশনে বাচ্চা প্রসব হয়েছে একটি। এ অভিযোগ উঠেছে ঢাকার আশুলিয়ায় মোল্লা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি নবজাতক আত্মসাতসহ ভুল রিপোর্টের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার করা হোক।
গত রোববার (৭ আগস্ট) আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট শের-আলী মার্কেট এলাকার রেনিসা ভিলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর স্বামী মো. মামুন মুন্সী এ অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে জানা যায়, মোল্লা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক কমপ্লেক্সটি একটি বাসার ফ্ল্যাট ভাড়া অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসছে। পরিচালনার ক্ষেত্রে, নেই কোনো প্রকার প্রয়োজনীয় সনদপত্র। নেই প্রয়োজন অনুপাতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। দায়মা ও আয়া দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে নার্সের কাজ। সেই সঙ্গে নেই সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষণ যন্ত্রাংশ।
শুধু তাই নয়, ঐ প্রতিষ্ঠানে রাখা একটি ফ্রিজ রয়েছে যার মধ্যে চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপকরণ থাকলেও বাস্তব চিত্রে দেখা যায় তার উল্টো। ফ্রিজের মধ্যে রাখা হয়েছে মাছ, মাংস, চিনি, মাখানো মুড়ি, মসলাসহ অন্যান্য সামগ্রী।
ভুক্তভোগীর স্বামী মামুন মুন্সী বলেন, শুরু থেকেই এই হাসপাতালে আমার স্ত্রীকে চিকিৎসা করাচ্ছি। ডাক্তারের (ফাতেমা বিনতে হাসিব, গাইনি অ্যান্ড অবস) পরামর্শ অনুযায়ী ধারাবাহিক ভাবে ৬ টেস্টেও করিয়েছি এবং গর্ভে ২টি বাচ্চা থাকার কারণে মা ও বাচ্চা সুস্থ রাখার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে ওষুধ সেবন করিয়েছি। দুটি বাচ্চা হবে বিধায় মা ও বাচ্চার ঝুঁকি আছে এ কথা শুনে সিজার করতে এনেছি। তা নাহলে নরমাল ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করতাম। সিজারের বেশ কিছুক্ষণ পর আমাকে জানায় আমার বউয়ের ১টা বাচ্চা হয়েছে। তাহলে আরেকটা বাচ্চা গেল কই? এখন এরা বলছে তাদের রিপোর্টে নাকি ভুল হয়েছে।
এমনকি সিজারের কিছুক্ষণ আগেও হাসপাতালের মালিক ইলিয়াস মোল্লা আমাকে কম্পিউটারে ২টা বাচ্চার হার্টবিট দেখিয়েছে। আপনি অন্য কোথাও টেস্ট করিয়েছেন? প্রশ্ন উত্তরে মামুন বলেন, মোল্লা জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও অন্য ডায়াগনোস্টিক সেন্টারেও করিয়েছি তারাও ২টা বাচ্চার কথা বলেছে। আমি বাচ্চা দেখতে যখন দৌড়ে কেবিনে যাই ঠিক ঐ মুহূর্তে বাচ্চা কান্না করতেছিলো তখনই কেউ বাচ্চা নিয়ে চলে নিয়ে যাচ্ছিল। যার কারণে আমি আর বাচ্চাটিকে দেখতে পারিনি। পুলিশ আসার পর তারা আমাকে অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ৪ দিন বয়সের একটি বাচ্চা দেখায় যেটা আমার বাচ্চা নয়।
