![]() |
" এক জালেই উঠে এলো ৬০০ কেজি লাল কোরাল | সময় সংবাদ" |
ফরহাদ আমিন, টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ২০০টি লাল কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে মাছগুলো শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ট্রলারের মাঝি মো. আবদুর রশিদ জানান, সোমবার দুপুরের দিকে ১০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে তারা সাগরে মাছ ধরতে যান। রাতে সাগরের ‘৯ বাইন’ এলাকায় জাল ফেলেন। রাত ৩টার দিকে জেলেরা জাল টেনে তুলতেই দেখতে পান, বড় বড় লাল কোরাল ধরা পড়েছে। পরে ট্রলারে জাল তুলে দেখা যায়, সাড়ে তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজনের ২০০টি লাল কোরাল মাছ। মাছগুলোর ওজন প্রায় ৬০০ কেজি।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, এখন সাগরে ইলিশ ধরার মৌসুম হলেও সেভাবে ইলিশের দেখা মিলছে না। গত দুই-তিন দিনে বিভিন্ন ট্রলারে লাল কোরাল ধরা পড়ছে। তাই এলাকার অধিকাংশ ট্রলার কোরাল ধরতে ছুটছে।
ট্রলারের মালিক মো. আতাউল্লাহ জানান, শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাট থেকে অনেকগুলো ট্রলার একসঙ্গে সাগরে মাছ ধরতে গেলেও তার ট্রলারেই মাছগুলো ধরা পড়েছে। কয়েক দিন আগেও একই ট্রলারে ১১০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছিল। তিনি প্রতি মণ মাছের দাম ৩৩ হাজার ৩০০ টাকা করে চেয়েছেন।
নুরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাসান নামের দুজন ব্যবসায়ী প্রতি মণ মাছ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। ন্যায্যমূল্য না পেলে বরফ দিয়ে মাছগুলো কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রয় করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিনি এক জালে ২০০টি লাল কোরাল ধরা পড়ার খবর তিনি শুনেছেন। সুস্বাদু কোরাল বা ভেটকি মাছের কদর দেশব্যাপী। বঙ্গোপসাগরের গভীর পানির মাছ কোরাল সব সময় হাটবাজারে পাওয়া যায় না। এ জন্য মাছের দাম কিছুটা বেশি।
তিনি আরো বলেন, মাছটি সাধারণত ১ থেকে ৯ কেজি ওজনের হয়। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম: খধঃবং পধষপধৎরভবৎ। এ মাছ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল বিশেষত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। তাছাড়া এশিয়ার উত্তরাঞ্চল, কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্ব আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলেও দেখা যায়।