ঋণের নামে প্রতারণা, টাকা আদায়ে করেন ধর্ষণ মামলা | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৫, ২০২২

ঋণের নামে প্রতারণা, টাকা আদায়ে করেন ধর্ষণ মামলা | সময় সংবাদ

" ঋণের নামে প্রতারণা, টাকা আদায়ে করেন ধর্ষণ মামলা | সময় সংবাদ"


আতিকুর রহমান, ঝালকাঠি 


ঝালকাঠিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়ার নামে ব্ল্যাঙ্ক চেক রেখে সেই চেকে প্রতারণার মাধ্যমে ইচ্ছেমতো টাকার অঙ্ক বসিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কথিত আইনজীবী সহকারী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গত শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বিমান দাস। উপস্থিত ছিলেন- নজরুলের প্রতারণার শিকার আশিষ দত্ত, সোহাগ হাওলাদার, মাহতাব জাবেদ শামীম ও খোকন হাওলাদার।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, একাধিক চাঁদাবাজি ও মাদক মামলার আসামি এবং প্রতারণার অভিযোগে ঝালকাঠি আইনজীবী সহকারী সমিতি থেকে বহিষ্কৃত মো. নজরুল ইসলাম ঝালকাঠি শহরের কালিবাড়ি সড়কের একটি ভবনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদান করে আসছিলেন। দেশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নামে ঋণদান অফিস খুলে নলছিটির সুবিদপুর গ্রামের সামশুল হক মহুরির ছেলে নজরুল এ প্রতারণা করেন।


করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নজরুলের সমিতি থেকে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতেন। যারা নজরুলের কাছ থেকে ঋণ নিতেন তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক রাখা হতো। কাউকে ঋণের বিপরীতে রাখা চেকের নম্বর উল্লেখ করে অঙ্গীকারনামা দেওয়া হতো, আবার কাউকে দেয়া হতো না। সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করার পরও অনেকের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকার মামলা এবং লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে হয়রানির একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে নজরুলের বিরুদ্ধে।


ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক খন্দকার নজরুলের কাছ থেকে ঋণ নেন এক লাখ টাকা। এরমধ্যে ৭৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তার কাছে বকেয়া থাকে ২৪ হাজার টাকা। রাজ্জাকের ব্ল্যাঙ্ক চেকে ৫ লাখ টাকা বসিয়ে আদালতে এনআই অ্যাক্টে মামলা করেন নজরুল। একইভাবে কমল শীলের কাছে বকেয়া ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা কিন্তু মামলা করেছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার।


বাহের রোডের আবু সালেহ আকন ঋণ নেয় ৩৫ হাজার টাকা তার নামে লিগ্যাল নোটিশ করা হয়েছে তিন লাখ টাকার। আশিষ দত্তের কাছে বকেয়া আছে মাত্র ৬ হাজার টাকা তাকে লিগ্যাল নোটিশ করা হয়েছে তিন লাখ টাকার। মাহতাব জাবেদ শামীমের কাছে কোনো পাওনা না থাকা সত্ত্বেও তাকে নোটিশ করা হয়েছে ৮ লাখ টাকার।




Post Top Ad

Responsive Ads Here